বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন বন্দুক মামলার সবগুলো অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত
অবৈধভাবে বন্দুক কেনার জন্য মাদক গ্রহণ সম্পর্কে মিথ্যা বলার দায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনকে মঙ্গলবার (১১ জুন) দোষী সাব্যস্ত করেছে জুরি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থাকে নিজের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ দাবির বিরুদ্ধে এখন হান্টার বাইডেনের রায়কে জবাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারে ডেমোক্র্যাটরা।
ডেলাওয়্যারের উইলমিংটনের ফেডারেল আদালতের ১২ সদস্যবিশিষ্ট জুরি হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে থাকা ৩টি অভিযোগেই তার দোষ খুঁজে পেয়েছেন। এ প্রথমবারে মতো দায়িত্ব পালনরত কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সন্তান অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন।
৫৪ বছর বয়সি হান্টার বাইডেন রায় পড়ার পর হালকাভাবে মাথা নাড়েন। এর বাইরে তিনি সামান্যই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এরপর তিনি তার আইনজীবী অ্যাবে লোয়েলের পিঠ চাপড়ে দেন এবং তার আইনি দলের আরেক সদস্যের সঙ্গে আলিঙ্গন করেন।
বিচারক সাজা ঘোষণার জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করেননি। তবে জানিয়েছেন, এ সময়কাল সাধারণত ১২০ দিনের মধ্যে হয়। ফলে আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মোটামুটি এক মাস আগের এ তারিখ পড়তে পারে।
বন্দুক-সম্পর্কিত অভিযোগের জন্য মার্কিন আইনে ১৫ থেকে ২১ মাস সাজা প্রদানের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই ধরনের মামলায় আসামিরা প্রায়শই ছোটখাটো সাজা পান এবং যদি তারা তাদের আংশিক মুক্তির সময়ে সব শর্ত মেনে চলেন, তাহলে তাদের কারাবাসের সম্ভাবনা কমে যায়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত এক মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যারের একটি আদালতে হান্টারকে অভিযুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র কেনার সময় মাদক ব্যবহারের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও ২০১৮ সালের অক্টোবরে অবৈধভাবে ১১ দিন নিজের কাছে অস্ত্র রাখাসহ তিনটি অভিযোগ আনা হয়। বিশেষ কৌঁসুলি ডেভিড ওয়েইস আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন।
রিপাবলিকান দলের নেতাকর্মীরা জো বাইডেনের পরিবার, বিশেষ করে তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করে আসছেন। বহু বছর ধরে তারা এটি প্রমাণ করতে চাইছেন যে, হান্টার তার বাবার প্রভাব কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে লাভবান হয়েছেন।
গত সেপ্টেম্বরেই হান্টারের বিরুদ্ধে আরেকটি ফৌজদারি মামলা হয়। এতে তার বিরুদ্ধে লাখ লাখ ডলার কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলাটিও করেন বিশেষ কৌঁসুলি ডেভিড ওয়েইস।