সরকারি গোপনীয়তা রক্ষায় নিজস্ব মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করবে পাকিস্তান
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য 'বিপ পাকিস্তান' নামে নিজস্ব মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন চালু করছে পাকিস্তান। তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সাজা ফাতিমা খাজা জানান, বর্তমানে তার মন্ত্রণালয়ে এই অ্যাপটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে এবং অন্যান্য সরকারি দপ্তরের মধ্যে শিগগিরই এটি চালু করা হবে।
আল জাজিরাকে ফাতিমা বলেন, 'আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে নিরাপদ এবং সমন্বিত যোগাযোগের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছি। বিপ পাকিস্তান তৈরির মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারের গোপনীয়তা এবং ডেটা রক্ষা করা'।
২০২৩ সালের আগস্টে পাকিস্তানের তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী সৈয়দ আমিনুল হক যখন প্রথম নতুন অ্যাপটির পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন, তখন তিনি এটিকে হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। তবে এখন ভিন্ন কথা বলছে সরকার।
ফাতিমা খাজা বলেন, হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে তুলনা করা ভুল, কারণ কোনো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার ইচ্ছা তাদের নেই।
এদিকে, পাকিস্তান সরকার এমন এক সময়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য অ্যাপটি চালু করল যেখানে তাদের সাধারণ জনগণই যথাযথ ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এপ্রিলে দেশটির সরকার নিশ্চিত করে যে, 'নিরাপত্তা হুমকির' কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট থ্রোটলিংয়ের (ইন্টারনেটের গতি সীমিত করা) জন্য দেশটির টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক পাকিস্তান টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষকে (পিটিএ) দায়ী করছেন। এই মাসের শুরুতে হোয়াটসঅ্যাপে ছবি, ডকুমেন্টস এবং ভয়েস নোট আদান প্রদানে সমস্যা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই মাসের শুরুতে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি বিভ্রাটের অংশ হিসেবে ইন্টারনেটের ধীর গতি ছিল।
উল্লেখ্য, এর আগে ফেব্রুয়ারিতে দেশটির নির্বাচনের দিনও মোবাইল ডেটা সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন