বাড়ছে এমপক্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব; বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি; কীভাবে ছড়ায় এটি?
আফ্রিকার দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ছোঁয়াচে এমপক্স ভাইরাস। এ নিয়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)।
মূলত কঙ্গো থেকেই প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে। পূর্বে মাংকিপক্স নামেই পরিচিত ছিল এই ভাইরাস।
দ্য আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫০০ মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। এই সময় কমপক্ষে ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়।
দেখা যায়, গতবছরের একই সময়ের তুলনায় এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের হার বেড়েছে ১৬০ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার বেড়েছে ১৯ শতাংশ।
এমপক্সের দুটি প্রধান ধরন রয়েছে; যথা: ক্লেড-১ এবং ক্লেড-২। এর আগে ২০২২ সালে এমপক্স পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণার সময় বলা হয়েছিল, সেবারের সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে হালকা ক্লেড-২ ছিল। তবে এবার অনেক বেশি মারাত্মক ক্লেড-১ ধরনটি ছড়িয়ে পড়ছে।
সংক্রামক ভাইরাসটি এখন মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ছে। বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকান, কেনিয়া ও রুয়ান্ডাতেও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ফলে ভাইরাসটির উচ্চ মৃত্যুহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এমপক্স ছড়ায়। এটি সঙ্গম, ত্বকের সংস্পর্শ, কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এতে ফ্লুর মতো উপসর্গের পাশাপাশি পুঁজ ও ক্ষত সৃষ্টি করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রভাব সামান্য দেখা গেলেও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ১০০ জনের মধ্যে গড়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, "আফ্রিকা এবং এর বাইরে আরও দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই উদ্বেগজনক। এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আবশ্যক।"
গত বছরের সেপ্টেম্বরের দিকে ভাইরাসটির ধরনে পরিবর্তন আসে। মিউটেশনের ফলে ক্লেড ১বি নামক একটি ধরন সৃষ্টি ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। এই নতুন রূপটিকে একজন বিজ্ঞানী এ পর্যন্ত সবচেয়ে বিপজ্জনক' হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান