ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬৯
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত সোমবার থেকে চলমান সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৫৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৫০ জন শিশু এবং ৯৪ জন নারী রয়েছেন। লেবাননের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ধারণা করছে যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলা তীব্র হওয়ায় অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তবে নিহতদের মধ্যে কতজন বেসামরিক বা যোদ্ধা, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত সোমবার লেবাননে এ হামলা চালায় ইসরায়েল। প্রায় ২০ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
২০০৬ সালের যুদ্ধের পর থেকে হিজবুল্লাহ যে অবকাঠামো তৈরি করেছিল, সেসব ধ্বংস করতে গোষ্ঠীটির ১ হাজার ৩০০টি অবস্থান লক্ষ্য হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আক্রমণের ফলে হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
জবাবে হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েল লক্ষ্য করে দুই শতাধিক রকেট ছুড়েছে। এতে দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্যারামেডিক।
পরিস্থিতি সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নেওয়ার আশঙ্কায় বিশ্বনেতারা দুই পক্ষকেই সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, লেবানন 'আরেকটি গাজায়' পরিণত হোক সেটি তিনি চান না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে তারা 'অল্প সংখ্যক' অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে।
ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রথম ঢেউ শুরু হয় সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টায়।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, সারা দিনজুড়ে দক্ষিণ লেবাননের সিডন, মারজায়ুন, নাবাতিহ, বিনতে জেবিল, টায়ার, জেজিন ও জাহরানি জেলার পাশাপাশি বেকা উপত্যকার কয়েক ডজন শহর ও গ্রামে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এছাড়া একই দিন সন্ধ্যায় রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির বির আল-আবেদ এলাকায় একাধিক মিসাইল আঘাত হানে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।