মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন চাল আনবে সরকার
ভারত, ভিয়েতনামের এবার মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন চাল আমদানির আলোচনা চূড়ান্ত করেছে সরকার। সোমবার মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় এ বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই দেশ।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দ্রুতই এই বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন চালের আমদানি আগামী সেপ্টেম্বরেই শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ফুটগ্রেইন আমদানিতে ভুগতে থাকা বাংলাদেশ সম্প্রতি ভিয়েতনাম থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার টন এবং ভারত থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম আমদানি শুরুর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ।
জানা যায়, এসব চাল ও গমের চালান আমদানি হবে জিটুজি পদ্ধতিতে।
গত বোরো মৌসুমের মধ্যেই চালের দাম বাড়তে শুরু করে। এই ধারাবাহিকতায় এখন দেশের বাজারে এক কেজি মোটা চাল কিনতেও খরচ হয় ৫৫-৬০ টাকা। যা গত বছরের এই সময়ে ছিল ৪৫ টাকা। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর তথ্য বলছে, মোটা চালের দাম গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি।
একইভাবে বেড়েছে চিকন ও মাঝারি মানের চিকন চালের দাম। চিকন চাল কিনতে এখন একজন ভোক্তাকে খরচ করতে হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকা।
এই অবস্থায় সরকার আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করবে। একেকটি পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে।
এছাড়া সরকার চলমান ওএমএস কার্যক্রম আরও বাড়িয়ে ৮১১ জন ডিলারের স্থলে ২৩৬৩টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৩০ টাকা করে চাল বিক্রি করবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন টিবিএসকে বলেন, 'আমরা ১৫ টাকা কেজি দরে সারাদেশে চাল বিতরণ কর্মসূচি শুরু করছি। যে কারণে আমাদের চালের স্টকও বেশি দরকার।'
বর্তমানে সরকারের স্টকে ১৭.৯২ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ১.৪১ লাখ টন গমের মজুদ রয়েছে।