৯ দিনে ভোমরা বন্দর দিয়ে ফিরেছেন ১২৯৬ বাংলাদেশি
ভারত সরকার পাসপোর্টধারী যাত্রীদের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও ভারত থেকে দেশে আসছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। গত নয় দিনে ভারত থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন এক হাজার ২৯৬ পাসেপার্টধারী যাত্রী। ভারত ফেরত এসব যাত্রীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশ।
অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্যমতে, ২৪ মার্চ থেকে ভারত সরকার পাসপোর্টধারী সকল যাত্রীর দেশে প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করে। এতে ভারতীয় কোনো পাসপোর্টধারী নাগরিকেরও ভারতে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। তবে ভারতে অবস্থান করা পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি নাগরিক দেশে প্রবেশ করতে পারছেন।
২৩ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করেছেন ১২৯৬ জন। ২৩ মার্চ প্রবেশ করেন ৫৪১ জন, ২৪ মার্চ ৯৪ জন, ২৫ মার্চ ৪৫ জন, ২৬ মার্চ ৪৮ জন, ২৭ মার্চ ৯৪ জন, ২৮ মার্চ ১০৫ জন, ২৯ মার্চ ১২৮ জন, ৩০ মার্চ ৮৯ জন ও ৩১ মার্চ ১৫২ জন।
ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক বিশ্বজিত সরকার জানান, ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে যারা দেশে প্রবেশ করছেন, তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাতে হোম কোয়ারেন্টিন সিল মোহর দিয়ে ১৪ দিন বাড়িতে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ বন্দরে করোনা আক্রান্ত কোনো নাগরিক পাওয়া যায়নি। তবে আমরা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক রয়েছি।
এদিকে, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর গ্রামের আতিয়ার সরদারের ছেলে শাহজাহান সরদার। তিনি জানান, কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে গিয়েছিলেন। ভারতে কারফিউ জারি থাকায় কোনো কাজ নেই। নিজের হাতে থাকা টাকাও ফুরিয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়েই দেশে ফিরে এসেছেন তিনি।
এদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার কারফিউ জারির পর থেকে ধ্বস নেমেছে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে। বন্ধ হয়ে গেছে সকল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এতে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা এনাম হোসেন জানান, গত ২৫ মার্চ থেকে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা বাণিজ্যে ধ্বস নেমেছে।