ব্রাজিলকে চমকে দিতে পারবে এশিয়ার দল দক্ষিণ কোরিয়া?
হেক্সা জয়ের মিশনে আজ শেষ ষোলোর ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। চোট থেকে ফিরেছেন নেইমার, খেলতে পারেন শুরু থেকেই। যেটি বাড়তি উদ্যম হিসেবেই কাজ করবে সেলেকাওদের জন্য।
নাটকীয়তায় ভরপুর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের দিনে পর্তুগালকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়া, সামনে এখন বিশ্বকাপেরই অন্যতম ফেভারিট ব্রাজিল, তাই এশিয়ান দলটির বিদায় দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই।
বিশ্বকাপে এর আগে কখনো মুখোমুখি হয়নি এই দুই দল।
শেষ ষোলোর ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে দুই দলের পারফরম্যান্স, শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গাগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ব্রাজিল
গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচই জিতে নক-আউট নিশ্চিত করেছিল সেলেকাওরা। শেষ ম্যাচে বেঞ্চের খেলোয়াড়দের সুযোগ দেন ব্রাজিল কোচ তিতে, যদিও ক্যামেরুনের কাছে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় তারা।
গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের ফলাফল-
ব্রাজিল ২-০ সার্বিয়া
ব্রাজিল ১-০ সুইজারল্যান্ড
ব্রাজিল ০-১ ক্যামেরুন
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা রিচার্লিসন, সার্বিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি, ব্রাজিলের অপর গোলটি এসেছে কাসেমিরোর পা থেকে।
দক্ষিণ কোরিয়া
অনেকটা চমক দেখিয়েই নক-আউট পর্বে উঠেছে এশিয়ান দেশটি। নিজেদের থেকে ঢের এগিয়ে থাকা উরুগুয়েকে প্রথম ম্যাচে রুখে দেওয়ার পর ঘানার কাছে লড়াই করে হার মানে তারা, কিন্তু শেষ ম্যাচে ফেভারিট পর্তুগালকে শেষ মুহূর্তের গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেন সন হিউং মিনরা।
গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার ফলাফল-
দক্ষিণ কোরিয়া ০-০ উরুগুয়ে
দক্ষিণ কোরিয়া ২-৩ ঘানা
দক্ষিণ কোরিয়া ২-১ পর্তুগাল
দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ২ টি গোল করেছেন চো গুয়ে সাঙ।
ব্রাজিলের শক্তি এবং দুর্বলতা-
শক্তির দিক থেকে ব্রাজিল বিশ্বের যেকোনো দল থেকেই এগিয়ে, সব পজিশনেই দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় দিয়ে পূর্ণ তিতের দল। চোটের কারণে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ খেলতে না পারা নেইমার ফেরাতে আরো উজ্জীবিত ব্রাজিল শিবির। গ্রুপ পর্বে মন মাতানো ফুটবল খেলেছে জোগো বনিতোর বাহকেরা।
তবে রাইট-ব্যাক পজিশনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে দেখা গেছে ব্রাজিল কোচ তিতেকে, গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে ভিন্ন তিনজন রাইট-ব্যাক খেলিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দানিলো এবং মিলিতাওদের মধ্যে একজনের খেলার সম্ভাবনাই বেশি।
দক্ষিণ কোরিয়া শক্তি এবং দুর্বলতা-
পাওলো বেন্তোর দলের সবথেকে বড় শক্তির জায়গা তাদের কাউন্টার অ্যাটাক। রক্ষণ সামলে বিদ্যুৎগতিতে প্রতি-আক্রমণে উঠার মতো রসদ আছে দক্ষিণ কোরিয়ার। সন হিউং মিন কিংবা হুয়াং হি চ্যানরা গ্রুপ পর্বেও দেখিয়েছেন সেটির ঝলক।
দক্ষিণ কোরিয়ার বড় দুর্বলতার জায়গা তাদের মাঝমাঠ, নক-আউটে উঠা দলগুলোর মধ্যে দুর্বল মাঝমাঠের দিক থেকে তারা উপরের দিকেই থাকবে।
যে কারণে রক্ষণের উপর চাপ পড়ে প্রতিনিয়ত, ব্রাজিলের ভয়ংকর আক্রমণভাগের সামনে কোরিয়ার রক্ষণ কতক্ষণ টিকে থাকবে সেটি তাদের মাঝামাঠের পারফরম্যান্সের উপরেই নির্ভর করছে।