কেউ ইভিএম-এর ত্রুটি প্রমাণ করতে পারলে নিজে তার দায়ভার নেব: সিইসি
ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন)-এ প্রচলিত ব্যবস্থায় কোনোভাবেই একজনের ভোট আরেকজনের নামে যায় না উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এটি ভোটের সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি।
'ইভিএম-এ কোনো ভূত-প্রেত নেই।… সকল বিচারবিশ্লেষণ করেই এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি কেউ ইভিএম-এর ত্রুটি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আমি নিজেই এর দায়ভার নেব,' বলেন তিনি।
সিলেট সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবার (১০ জুন) দুপুরে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। নগরের জালালাবাদ গ্যাস অডিটরিয়ামে এ মতবিনিময় সভায় সিলেটের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোনো অনিয়ম হলে কেন্দ্র থেকে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনে কোনোভাবেই সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না উল্লেখ করে সিইসি জানান, কেউ নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থিতা বাতিলের মতোও সিদ্ধান্ত নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, ২০০৮ সালের বিধি অনুযায়ী নির্বাচনি ব্যয়ের সীমা নির্ধারিত আছে; তবে বর্তমান বাস্তবতায় তা পুনঃনির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান সিইসি।
পলিথিনে মোড়ানো ব্যানার-পোষ্টার নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা এত নিষ্ঠুর হতে পারব না। এটা নিয়ে আইন আছে। পুলিশ চাইলে পলিথিনে মোড়ানো ব্যানার-পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলতে পারে। আর এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মহানগর পুলিশ কমিশনার ইলিয়াছ শরীফ বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রশাসন কঠোর রয়েছে। পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করবে।
আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।