আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: জয়পুরহাটে বিএনপির ১,২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
জয়পুরহাটে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনকালে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলা দুটিতে আসামী করা হয়, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। এরমধ্যে একটি মামলার বাদী পুলিশ। অন্যটি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) জয়পুরহাট সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। পৃথক দুটি মামলায় এজাহার নামীয় ২৩১ জন এবং অজ্ঞাত ১ হাজার নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়েছে। এরমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালনকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ থামাতে গেলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে রেললাইনের পাথর ও ইট ছোঁড়ে। লাঠি-সোটা নিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেয়। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই রুবেল বাদী হয়ে বিএনপির ৮১ জন-সহ অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
একই ঘটনায় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ এনে ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রাজা বাদী হয়ে বিএনপির দেড়শ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৪০০ থেকে ৫০০ জন নেতা-কর্মীকে আসামী করে পৃথক মামলা করেন।
পুলিশের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী জয়পুরহাট সদর উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল আলীম ও ছাত্রদলের মারজান হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, 'সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে, পুলিশ বিএনপির ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে। একই মামলায় আরও ৪০০ থেকে ৫০০ নেতা-কর্মীকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর ছাত্রলীগের করা মামলায় বিএনপির দেড়'শ জনসহ অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছ।'
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটায় দেশব্যাপী দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা শহরের পৃথক এলাকা থেকে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা এবং পদযাত্রা শুরু করে। পদযাত্রা নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিকেল পৌনে ৫টায় বিএনপির জেলা কার্যালয়ের পেছনে শহরের প্রধান সড়কের রেলগেট এলাকার পশ্চিম অংশে অবস্থান নেয়। এ সময় আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা দলীয় অফিসে ফেরার সময় পেছন থেকে নেতা-কর্মীদের একাংশ শহরের প্রধান সড়কের রেলগেট এলাকার পূর্ব অংশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুখোমুখি অবস্থান নিলে এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে উভয় দলের কমপক্ষে ২৫ নেতা-কর্মী আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে, বিএনপির জেলা কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।