ইমরান খানের গ্রেপ্তার পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তার পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র ডন'কে বলেন, "ইমরান খান এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও পাকিস্তানে আইনের শাসনের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানাই, যেমনটা আমরা অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও করে থাকি।"
এদিকে মার্কিন আইনপ্রণেতারা সাধারণত অন্যান্য সময় ইমরান খান এবং তার রাজনীতিকে সমর্থন জানালেও, এবারের গ্রেপ্তার ইস্যুতে তারা নীরব। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং থিংক-ট্যাংক বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে কথা বলতে এগিয়ে এসেছেন।
ওয়াশিংটনে উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক একজন পণ্ডিত মাইকেল কাগেলম্যান সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ (পূর্বের নাম টুইটার) বলেন, "বেশিদিন আগের কথা নয়, সরকারের ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু শান্ত হবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু এখন ইমরান খানকে আবারও গ্রেপ্তার এবং নির্বাচন আরও দেরিতে হওয়ার আভাস পাওয়ার পর সেই সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে গেছে।"
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য মোহসিন দাওয়ার উত্তর আমেরিকা থেকে টুইটারে লিখেছেন, "একজন প্রধানমন্ত্রীকে ইকামার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এখন আরেকজনকে ঘড়ি বিক্রির অপরাধে। এভাবেই রাজনীতিবিদরা তুচ্ছ বিষয়ে অপমানিত হন এবং অন্যরা ফাঁক গলে বেরিয়ে যান।"
এদিকে শনিবার ইমরান খানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে লন্ডনে পাকিস্তানি দূতাবাসের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন তার কিছু সমর্থক।
লন্ডনে একজন বিশিষ্ট পিটিআই কর্মী শায়ান আলী শনিবার বিকালে লোনডেস স্কয়ারে ইমরান খানের সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান। যদিও বৃষ্টির দিন ছিল, তবুও এর মধ্যেই পিটিআই সমর্থকরা দূতাবাসের বাইরে জড়ো হন এবং ইমরানের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।
তোশাখানা উপহারের তথ্য গোপন করার অপরাধে গতকাল শনিবার ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ ১,০০,০০০ রুপি জরিমানার রায় দিয়েছে ইসলামাবাদের একটি বিচারিক আদালত। আদালতের এই রায়ের পর লাহোর থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।