বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে সর্ম্পক রয়েছে, তা আরো উচ্চ শিখরে পৌঁছাবে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় পুরো বিশ্বে গণতন্ত্রের চর্চা হোক। উনারা (যুক্তরাষ্ট্র) এতদিন দেখে এসেছেন যে বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কায়েম ছিল। এখন যে সরকার আসছে তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আর এ কারণে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তারা আরও বেশি করে কাজ করছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সর্ম্পক আরো গভীর হবে। ড. ইউনূসের সঙ্গে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টি দুই দলেরই ভালো সর্ম্পক রয়েছে। এই ব্যক্তিগত সর্ম্পক বা স্টেট টু স্টেট সর্ম্পকের কারণে দুই দেশের সর্ম্পক আরো গভীর হবে।
ট্রাম্পের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসার আগে টুইটে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, আমরা মনে করি উনাকে মিসইনফর্ম করা হয়েছে। এখন যেহেতু উনি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, উনি দেখবেন ঘটনাটি আসলে কি। বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাস কাজ করছে। কি পরিমাণ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে, সেটা তারাও খোঁজ রাখছেন। উনি নিশ্চয়ই এগুলো জানবেন।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের বিষয়ে দুর্গাপূজার সময় নানা ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে এ বছর সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা প্রতিটা ঘটনায় ব্যবস্থাও নিয়েছি।