নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার: মার্কিন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা
নিষেধাজ্ঞাকে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কৌশলগত হাতিয়ার বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ।
আজ সোমবার (৭ আগস্ট) পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নেফিউর সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রসচিব সাংবাদিকদের তাদের আলোচনার বিষয়ে জানান।
গতকাল রোববার ঢাকায় আসেন নেফিউ। সফরের প্রথম দিনই দুর্নীতি দমন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেন তিনি। এরপর আজ পররাষ্ট্রসচিবের সাথে বৈঠকের আগে মার্কিন দূতাবাসে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
১১ জন বাংলাদেশির উপর অর্থপাচারের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আসছে এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ্য মাধ্যমে ঘুরছে, সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, 'এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে রিচার্ড নেফিউ যেহেতু নিজেও একসময় স্যাংশন-রিলেটেড কর্মকতা ছিলেন, সুতরাং তিনি কোনো ব্যক্তিবিশেষের কথা বলেন নাই, বাট বলেছে যে স্যাংশন ইজ এ টু্ল এগেইনেস্ট করাপ্ট পিপল। এটাও (যুক্তরাষ্ট্রের) চিন্তাভাবনায় আছে হয়ত।'
নেফিউয়ের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, 'এটি (স্যাংশন) যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে, শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়।'
এস আলম গ্রুপ দেশের বাইরে এক বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'আমরা এরকম কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। যদি দুদক আমাদের অনুরোধ করে তাহলে আমরা আইনের মধ্যে থেকে যা করার করব।'
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কোনো সহায়তা চাওয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, 'ফেরত আনা তো পরের বিষয়। প্রথমে এগুলো কোন রুটে যাচ্ছে তা বন্ধ করা এবং এর সবই অবৈধ অর্থ নাও হতে পারে।'