রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ
রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের মতো ঘটনার লাগাতার প্রতিবেদনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)।
আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) ওএইচসিএইচআর'র চতুর্থ সর্বজনীন নিয়মিত পর্যালোচনা বা ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের বলপ্রয়োগ সীমিত করতে বিদ্যমান আইনের সংশোধন করে, এতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের কমিটি এগেইনস্ট টর্চার এবং মানবাধিকার বিষয়ক কমিটি। এর পাশপাশি বলপ্রয়োগের সমস্ত অভিযোগ, অস্বীকৃত আটক, গুম এবং হেফাজতে মৃত্যুর মতো অভিযোগগুলো একটি স্বাধীন সংস্থা দিয়ে তদন্ত করার সুপারিশ করেছে। তদন্তের পর দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে, ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দিতে একটি কার্যকর ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি, যাতে করে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। গুম প্রতিরোধে আইনে উপযুক্ত ধারাও যুক্ত করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, গোপনে কাউকে আটকে রাখা হয়নি– বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছে জাতিসংঘের এই সংস্থা।
এর পাশাপাশি তুলে নিয়ে যেসব স্থানে ভুক্তভোগীদের 'গোপনে আটক রাখা হয়'– সেসব স্থানের একটি স্বচ্ছ তালিকাও প্রকাশ করতে সরকারের কাছে সুপারিশ জানিয়েছে ওএইচসিএইচআর।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন; অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সংক্রান্ত কমিটি এবং কমিটি এগেইনস্ট টর্চার বলপূর্বক গুম থেকে সকল নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকারকে আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুমোদনের পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির আলোকে বাংলাদেশে বিদ্যমান সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আইনের (যা মৃত্যুদণ্ড আরোপ করতে পারে) প্রয়োগকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের কমিটি এগেনস্ট টর্চার।