সুন্দরবনের নদীতে পিঠে ট্রান্সমিটার বসিয়ে ছাড়া হলো কুমির
কুমিরের জীবনাচরণ জানতে পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনের নদীতে দুটো কুমির ছাড়া হয়েছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের ভদ্রা নদীতে দুটো কুমিরকে নদীতে ছাড়া হয়।
এ সময় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহাসিন হোসেন, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, শ্রীলঙ্কার কুমির বিশেষজ্ঞ ড. রু সোমাউইরা, করমজল বন্য প্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
কুমির দুটোর একটি সুন্দরবনের করমজলের কুমির জুলিয়েট এবং অন্যটি যশোরের মাইকেল মধুসুদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত স্ত্রী কুমির মধু। কুমির দুটোর পিঠে বসানো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে কুমিরের জীবনাচরণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যাবে। জীবনাচারণ জানার ফলে কুমিরের খাবার ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আরও বেশি জানা যাবে বলে জানিয়েছেন করমজল বন্য প্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির।
তিনি বলেন, "মূলত কুমিরের জীবনাচারণ জানতে স্যাটেলাইট ট্রান্সফরমার বসিয়ে কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কুমির বিশেষজ্ঞরাও যুক্ত ছিলেন এই প্রক্রিয়ার সাথে। আশাকরি এর মাধ্যমে আমরা কুমির বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাব।"
এতে করে কুমিরের খাবার ও চিকিৎসায় অনেক পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।