চাল চকচকে করতে গিয়ে বছরে ১৬ লাখ টন চাল উৎপাদন কম হয়: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে প্রতিবছর উৎপাদিত ধান থেকে চাল উৎপাদনের সময় চালকে চকচকে করার কারণে চালের ওজন হ্রাস পায়। ফলে চাল উৎপাদনও কম হয়।
'দেশে প্রতিবছর চার কোটি টন ধান উৎপাদন হয়। এ ধান থেকে উৎপাদিত চাল চকচক করার জন্য পাঁচবার পলিশ [চকচকে] করা হয়। এতে ৪ থেকে ৫ শতাংশ চাল ওজনে কমে যায়। ফলে বছরে ১৬ লাখ টন চাল উৎপাদন কম হয়,' বলেন তিনি।
এক্ষেত্রে দুইবার পলিশ করা হলে চালের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি লোকসান কমবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। 'এছাড়া চাল উৎপাদনে খরচ কমার ফলে ভোক্তারা আরও কম দামে চাল পাবেন।'
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সাইলোতে সম্পন্ন হওয়া বিএমআরইকরণ [ব্যালেন্সিং, মডার্নাইজেশন, রিহ্যাবিলিটেশন, অ্যান্ড এক্সপানশন] কাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'ভোক্তাদের সুবিধার্থে এখন থেকে বস্তায় ধানের জাত, ওজন, উৎপাদনের তারিখ এবং মিলগেটে কত দাম তা লিখতে হবে। যাতে করে খুচরা ব্যবসায়ী না বলতে পারেন যে, তারা বেশি দামে কিনেছেন।'
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রতিবছর ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, উদ্বৃত্ত থাকত। তবে সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
'বিপণন ব্যবস্থা সুষ্ঠু রাখা, সরকারি মজুত বৃদ্ধির জন্য স্থাপনা নির্মাণের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেউ যেন বেশি মজুত রেখে সরকারকে সংকটে ফেলতে না পারে, তার জন্য নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে,' বলেন তিনি।
এ আইনে মজুতদারদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।