‘যখন সময় হবে, সবাই জেনে যাবে’- অবসর প্রসঙ্গে সাকিব
ক্যারিয়ার লম্বা হলে আর শেষভাগে পারফরম্যান্সে ভাটা পড়লে অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হয় খেলোয়াড়দের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে আলোচনা শুরু হয়, সেটা অবসর নিয়ে। বর্তমানে সাকিব আল হাসান সেই অবস্থার মাঝে। টি-টোয়েন্টিতে এক বছর আট মাস পরে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি, বিশ্বকাপে সময়টা ভালো যাচ্ছে না। চারপাশে তাই সাকিবের অবসর নিয়ে আলোচনা, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে তাকে আর বাংলাদেশ দলে দেখতে চান না অনেক সাবেক ক্রিকেটারই।
প্রায়ই অবসরের প্রসঙ্গটি চলে আসছে সাকিবের সামনে, কখনও দিতে হচ্ছে প্রশ্নের উত্তরও। কিন্তু তিনি যে সবার চেয়ে আলাদা, তাই বাকি সময়ের মতো এসব আলোচনাও গায়ে মাখছেন না সাকিব। নিজের অবসর ভাবনা নিয়ে বিশেষ কোনো বক্তব্য নেই ৩৭ বছর বয়সী বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের। এসব নিয়ে চিন্তাই করেননি বলে জানিয়েছেন সাকিব। শুধু এতোটুকু জানিয়ে রাখলেন, সময় হলে সবাই জেনে যাবে। দলের প্রয়োজন ও নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক সাফল্যই কুড়িয়েছেন সাকিব, মাঝে মধ্যে দেখতে হয়েছে খারাপ সময়। তবে এখন যেভাবে তার পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা; আগে কখনই এমন হয়নি। তার দলে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেনি। ব্যাটিংয়ে কিংবা বোলিংয়ে, ঠিকই অবদান রেখে গেছেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার। কিন্তু অনেকদিন হলো তার ব্যাটে রান নেই। মূল শক্তির জায়গা বোলিং দিয়েও সাকিবকে চেনার উপায় নেই।
ভারতের বিপক্ষে এক উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছেছেন সাকিব। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে দলের দুঃসময়ে হতে পারেননি কাণ্ডারী, বাংলাদেশ হারে ৫০ রানে। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের রেকর্ড বইয়ে নতুন পাতা যোগ করার দিনেও অবসরের প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুনতে হয় তাকে।
ম্যাচের পর অবসর ভাবনা নিয়ে জানতে চাইলে সাকিব বলেন, 'শেষ (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) কিনা, জানি না। পৃথিবীতে যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হওয়া সম্ভব। এটা তো সিদ্ধান্ত নেবে আসলে ক্রিকেট বোর্ড। আমার নিজেরও ব্যক্তিগত কিছু সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। তবে এগুলো আসলে এখনই এখানে আলোচনা করার বিষয় নয়। এগুলো সময়ের সঙ্গে হয়তো আলোচনা হতে পারে।'
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব জানান, চলমান বিশ্বকাপের পর ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে বিদায় জানাতে চান তিনি। তবে এই প্রসঙ্গটি মনে করানোর পর সাকিব জানান, সেই ভাবনা থেকে সরে এসেছেন তিনি। তার ভাষায়, 'বলেছিলাম যে, তখনও পর্যন্ত চিন্তা এ রকম… চিন্তা তো বদলাতেই পারে। এগুলা নিয়ে আসলে আমি অনেক বেশি চিন্তিত নই '
'অনেক বড় বিরতি আছে সামনে। নিজের ওপর রিফ্লেক্ট করা যাবে, দলের প্রয়োজনীয়তা ভেবে দেখা যাবে, যদি দল মনে করে যে, আমাকে দরকার আছে, যদি আমি মনে করি যে দলে আমার দরকার আছে ও আমি ওভাবে তাড়না অনুভব করছি, সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে এটা খেলার বিষয় দেখা যাবে।' যোগ করেন তিনি।