গাজাবিরোধী অবস্থানের জন্য যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় লেবার পার্টির পরাজয়
আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে লেবার পার্টি। এর ফলে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন লেবার নেতা কিয়ার স্টারমার।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে বুথ ফেরত জরিপে লেবার পার্টির জয়ের জোরালো আভাস আগেই দেওয়া হয়েছিল। ভোটে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হওয়ায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে দেশটির বিরোধী দল লেবার পার্টি।
লেবার পার্টি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও গাজায় চলমান সংঘাতের বিষয়ে দলটির অবস্থানের কারণে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় দলটির প্রার্থীদের পরাজয় ঘটেছে।
একজন বিশিষ্ট লেবার সদস্য জনাথন অ্যাশওয়ার্থ মধ্য ইংল্যান্ডের লেস্টার সাউথ নির্বাচনী আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরেছেন, যিনি গাজাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
যেখানে জনাথন অ্যাশওয়ার্থকে মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হবে বলে আশা করা হয়েছিল, সেখানে তিনি ২০১৯ সালের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় ২০ হাজার ভোট কম পেয়েছেন এ বছরের নির্বাচনে।
এমনকি লেবার নেতা ও ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া কিয়ার স্টারমার উত্তর লন্ডনে তার হলবর্ন এবং সেন্ট প্যানক্রাস আসনে গাজাপন্থী প্রার্থীর থেকে ৭ হাজার ভোট কম পেয়েছেন।
৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই স্টারমার দৃঢ়ভাবে ইসরায়েলপন্থী অবস্থান নিয়েছিলেন। ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানে গাজায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও তিনি নিজের অবস্থান বজায় রেখেছিলেন।
প্রথাগত অনেক মুসলিম লেবার ভোটার এতে হতবাক হয়েছিলেন এবং স্পষ্টতই এ বছরের নির্বাচনে অন্য প্রার্থীদের দিকে ঝুঁকেছেন।