এমবাপ্পেদের স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে ইয়ামালের দুর্বার স্পেন
কিলিয়ান এমবাপ্পের কথাই ঠিক প্রমাণিত হলো। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ফরাসি তারকা বলেছিলেন, বিশ্বকাপের চেয়ে ইউরো জেতা কঠিন। সেমি-ফাইনাল থেকে বাদ পড়ে এখন নিশ্চয়ই এমবাপ্পের তার নিজের কথাই মনে পড়ছে।
আজ প্রথম সেমি-ফাইনালে ফ্রান্সকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে স্পেন। ২০১২ ইউরো জেতার পর আবারও ফাইনালে উঠল লা রোজারা। দুর্বার স্পেনের জয়ের নায়ক ১৬ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল ও দানি ওলমো। সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়ে অধরাই থেকে গেল এমবাপ্পের ইউরো জেতার স্বপ্ন।
দুই দৈত্যের লড়াইয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল স্পেন। পাঁচ ম্যাচ খেলে সবকটিই জিতে সেমিতে ওঠা স্প্যানিশরা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১১ গোলও করেছে। অন্যদিকে অনেকটা খুঁড়িয়ে সেমিতে ওঠা ফ্রান্স ওপেন প্লে থেকে কোনো গোলই করতে পারেনি। তবে সেমি-ফাইনালের চিত্রনাট্য শুরু হলো একেবারেই উল্টোভাবে।
ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটেই টুর্নামেন্টে ওপেন প্লে থেকে নিজেদের প্রথম গোলটা করে ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপ্পের মাপা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন কোলো মুয়ানি। কিন্তু স্পেন তো দমে যায়নি-ই, বরং খেলার নিয়ন্ত্রণ থাকে লুইস ডে লা ফুয়েন্তের দলের কাছেই।
২১ মিনিটে লামিনে ইয়ামাল যা করলেন, তা ইউরোর ইতিহাসে লেখা থাকবে। প্রায় ৩০ গজেরও বেশি দূর থেকে বাম পায়ের দারুণ এক বাঁকানো শটে পরাস্ত করলেন ফরাসি গোলরক্ষক মেইননকে। যা শুধু পিকাসোর তুলির আঁচড়ের সঙ্গেই তুলনা যোগ্য।
ম্যাচে এগিয়ে যেতেও সময় নেয়নি উজ্জীবিত স্পেন। চার মিনিট পরই দানি ওলমোর দুরন্ত গতির শট ফরাসি ডিফেন্ডার জুলস কুন্ডের পায়ে লেগে ঢুকে যায় জালে। ২৫ মিনিটের মধ্যেই দুই দলের তিন গোল করা দেখে ম্যাচে আরও গোল দেখার প্রত্যাশাতেই ছিলেন সবাই।
কিন্তু এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও গোল আর আসেনি। ফ্রান্সও খুব একটা বিপদ ঘটাতে পারেনি স্পেনের বক্সে। গোলে সহায়তা করা ছাড়া এমবাপ্পে ছিলেন নিষ্প্রভ। তার দুটো শট চলে গেছে বারের অনেক ওপর দিয়ে। ২০১২ সাল থেকে ফ্রান্সের কোচ হিসেবে চারটি ইউরোতে থেকেও একটিও জিততে পারলেন না দিদিয়ের দেশম।
বার্লিনে রবিবার ফাইনালে স্পেনের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার ম্যাচে জয়ী দল। রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা জয়ের জন্য স্পেনই থাকবে ফেবারিট। ইউরো যৌথভাবে তিনবার করে জিতেছে জার্মানি ও স্পেন। সেই জার্মানির মাটিতেই এই রেকর্ড নিজেদের একার করে নেওয়ার বড় সুযোগ এখন ডে লা ফুয়েন্তের দলের সামনে।