চীন সফর শেষে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
চীনে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশের উদ্দেশে বেইজিং ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে তিনি এই সফর করেন।
স্থানীয় সময় রাত দশটার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ছাড়ে।
বুধবার রাত ১টায় (বাংলাদেশ সময়) বিমানটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
এর আগে তাঁর বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কন্যা সায়মা ওয়াজেদের অসুস্থতার কারণে তাঁর পাশে থাকতে নির্ধারিত সফরসূচির আগেই ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার গণমাধ্যমকে এক ব্রিফিংয়ে একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর সংক্ষিপ্ত করা হয়নি। বরং অসুস্থ মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকে সময় দিতেই আজ রাতে দেশে ফিরছেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, সায়মা ওয়াজেদের এই সফরে থাকার কথা থাকলেও গত ৮ জুলাই সকালে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি যেতে পারেননি। শেখ হাসিনা বেইজিং ত্যাগের আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সাথে বৈঠকসহ তাঁর নির্ধারিত সব দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচি সম্পন্ন করেছেন। কেবল বেইজিংয়ে রাতটা থাকছেন না।
এর আগে বুধবার সকালে দুই দেশের প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্যে প্রায় ২১টি সহযোগিতা নথি সই ও নবায়ন করা হয়। এর বেশিরভাগই সমঝোতা স্মারক।
এছাড়া দেশ দুটির মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) ওপর যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদনসহ সাতটি ফলাফল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার চীন সফর করেছেন।
২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফর করেন। তার ওই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছায়।