কে এই ট্রাম্পের আততায়ী? তদন্ত কোন পথে যাচ্ছে?
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) জানিয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন আততায়ীর নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস (২০)। তিনি পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বেথেল পার্ক গ্রামের অধিবাসী।
ঘটনার পর দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার (সিক্রেট সার্ভিস) সদস্যদের হাতে হামলাকারী নিহত হন।
হামলার পর নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, 'মনে হলো, একটি গুলি আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হলো। আমি টের পেলাম কিছু একটা খারাপ হচ্ছে; শোঁ শোঁ শব্দ, গুলির আওয়াজ শুনতে পেলাম এবং সাথে সাথে বুঝলাম বুলেটটি আমার ডান কানের চামড়া ছিঁড়ে বের হয়ে যাচ্ছে।'
হামলায় সমাবেশে উপস্থিত একজন নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ক্রুকস সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায়নি। হামলার উদ্দেশ্যও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কে এই থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস?
ক্রুকসের বয়স ২০ বছর। তিনি বাটলার শহর থেকে ৪০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত গ্রাম বেথেল পার্কের অধিবাসী।
স্থানীয় একটি মিডিয়া আউটলেটে প্রকাশিত বেথেল পার্ক হাই স্কুলের ২০২২ সালের গ্র্যাজুয়েটদের তালিকায় ক্রুকসও রয়েছেন। এছাড়াও ওই স্কুল থেকে গণিত ও বিজ্ঞানের জন্য ৫০০ ডলার পুরস্কারপ্রাপ্ত ২০ শিক্ষার্থীর মধ্যেও রয়েছে তার নাম।
এ বিষেয়ে জানতে আজ রবিবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও স্কুলটি কোনো সাড়া দেয়নি।
এদিকে পেনসিলভানিয়ার ভোটার রেকর্ড থেকে জানা গেছে, ক্রুকস নিজেও রিপাবলিকান দলের সমর্থক।
তদন্ত নিয়ে যা জানা গেল
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারী এআর-১৫-স্টাইল সেমিঅটোমেটিক রাইফেল ব্যবহার করে হামলা করেছেন।
এফবিআই বলছে, এটি সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে। তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে কারও কাছে প্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য থাকলে, সেটি এফবিআইকে অবহিত করার অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।
এর আগে ক্রুকসের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এফবিআই কর্মকর্তা কেভিন রোজেক বলেছিলেন, 'আমরা এখনও হামলাকারীর উদ্দেশ্য নিশ্চিত হতে পারিনি। হামলার উদ্দেশ্য জানার জন্য তদন্তকারীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।'
হামলাকারী একাই ছিল কি না- এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশ লেফটেন্যান্ট কর্নেল জর্জ বাইভেন্স বলেন, 'এটি এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময়ের দরকার।'
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক