প্রয়াত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বাসায় পুলিশ যাওয়ার বিষয়ে যা জানা গেল
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা প্রয়াত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মইনুল হোসেনের রাজধানীর বারিধারার বাসায় গিয়েছিল গুলশান থানা পুলিশের একটি দল। গত সোমবার (২৯ জুলাই) যখন তারা ওই বাসায় যায়, তখন বাসায় কেউ ছিলেন না।
দৈনিক মানবজমিনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রয়াত আইনজীবী মইনুল হোসেনকে ধরতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সঙ্গে এনেছিল পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
মইনুল হোসেনের পরিবারে পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয় যে পুলিশ একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে তাদের বাসায় এসেছিল।
এ বিষয়ে জানতে আজ বুধবার সন্ধ্যায় মইনুল হোসেনের ছেলে জাবেদ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, ঘটনার সময় তারা কেউই বাসায় ছিলেন না।
বাসার কাজের লোকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, 'পুলিশ আমার বাবাকে ধরতে এবং তার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করতে পরোয়ানা সঙ্গে নিয়েই সোমবার আমাদের বাসায় এসেছিল। বাসার কাজের লোক তখন তাদের আমার বাবার ডেথ সার্টিফিকেট দেখালে পুলিশ চলে যায়।'
এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আইনজীবী মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে হওয়া এক মামলা নিষ্পত্তির জন্য গত মাসে চট্টগ্রামের একটি আদালত তার ডেথ সার্টিফিকেট চেয়েছিলেন। এজন্য পুলিশ সদস্যরা তার বাসায় গিয়েছিলেন।
'এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট,' যোগ করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীনা বলায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় মানহানির মামলা করেছিলে সীতাকুণ্ড থানার বাসিন্দা নাসরিন আক্তার।
গত ৪ জুলাই আদালত এক আদেশে বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ এই মামলার আসামি মারা গেছেন বলে জানা গেছে। তবে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ব্যরিস্টার মইনুল মারা গেছে কি না, তা নিশ্চিতের জন্য আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে গুলশান থানার ওসিকে নির্দেশ দেয় আদালত।
তবে জাবেদ হোসাইন বলেন, পুলিশ প্রথমে দাবি করেছিল যে তারা এ বিষয়ে অবগত নয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মইনুল হোসেন মারা যান।