শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ
কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে 'ছাত্র-জনতা হত্যার দায়ে' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়েছেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে এ জমায়েত শুরু হয়। এ সময় পল্টন মোড় থেকে কদমচত্বর পর্যন্ত মানুষের সমাগম হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের কাছে 'রক্তের দাগ দিচ্ছে ডাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক' ব্যানার দেখা যায়। সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, আসিফ নজরুল প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এক পর্যায়ে বায়তুল মোকারম থেকে বের হওয়া মুসল্লিদের বড় একটি অংশও এসে যোগ দেন।
এ সময় প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্যকে ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়।
এর আগে বাইতুল মোকাররম থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে হাজির হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সহিংসতা ও সংঘর্ষে হত্যা এবং গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন মানুষ।
এ সময় বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার দেশব্যাপী প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণহত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামীকাল মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, শহীদদের কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন ও পরে ছাত্রজনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।