কুমিল্লায় সড়কে যানবাহন কম, বন্ধ মার্কেট, রাস্তায় জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্যান্য সময় রোগীদের অস্বাভাবিক ভিড় থাকলেও আজকের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। আজ রোববার (৪ আগস্ট) অসহযোগ আন্দোলনের প্রথমদিনে হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলেও রোগী ছিল হাতে গোনা। হাতপাতালের বাইরে কিছু অটোরিকশা দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর সংখ্যা কমতে থাকে। এছাড়া সব ধরনের মার্কেট ছিল বন্ধ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শহরের টমছমব্রিজ ও দৌলতপুর এলাকায় পুলিশের কিছুটা উপস্থিতি আছে। দৌলতপুরে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেনকে দেখা গেলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কাউকে দেখা যায়নি।
দিদার, বলরামপুর, ধনপুর, টমছমব্রিজ, মহাসড়কের কোটবাড়ি বিশ্বরোড, নন্দনপুর ও জাগুরঝুলিতে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের লোকজনদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়া এবং নাজিরাবাজার অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বেলা পৌনে ১২টা) অন্তত দুই হাজার শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট হয়ে কোটবাড়ির দিকে অগ্রসর হতে দেখা যায়। তাদের সাথে বিভিন্ন মোড় থেকে শিক্ষার্থী এবং জনসাধারণ যোগ দিচ্ছেন। কেউ বিতরণ করছেন পানি। মহাসড়কে জরুরি পরিবহন ছাড়া কিছুই দেখা যায়নি। জরুরি পরিবহনও ছিল একেবারেই নগণ্য।
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শাহরিয়ার ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আবু হেনা বলেন, "আমাদের রক্ত ঝরেছে। এখন একদফা বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য।"