নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ১৮৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে আরও ৩১০ মেগাওয়াট যুক্ত করতে বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ১৮৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে সরকার। যা নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ পেতে এবং বায়ুদূষণ রোধে অবদান রাখবে।
‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি বৃদ্ধি’ শীর্ষক এ প্রকল্প দেশে এ খাতের বাজার সম্প্রসারণে সোলার ফটোভল্টিক (পিভি) বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কাজ করবে।
প্রকল্পের আওতায় ফেনীতে দেশের প্রথম বৃহৎ আকারের ৫০ মেগাওয়াটের সোলার পিভি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। যা ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) বাস্তবায়ন করবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সেই সঙ্গে প্রকল্পটি বড় আকারের ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর জন্য অর্থায়নে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডকে (আইডিসিওএল) সহায়তা দেবে।
এছাড়া, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) এ অনুদানের আওতায় বড় আকারের প্রকল্প চিহ্নিতকরণ এবং সোলার প্যানেলের জন্য নতুন নেট মিটারিং প্রসারের কাজে সহায়তা পাবে।
এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চ্যান বলেন, ‘গত দশক থেকে বিশ্ব ব্যাংক নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুত পৌছে দিতে বাংলাদেশকে সাহায্য করছে। আজ বাংলাদেশে রয়েছে গৃহে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কর্মসূচি। যা দেশের প্রায় এক-দশমাংশ জনগোষ্ঠীকে সেবা দিচ্ছে।’
এবার নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বড় আকারে বাড়াতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে বিশ্ব ব্যাংক এক ধাপ এগিয়ে এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের চুক্তির ১৮৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে রয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিলের (সিআইএফ) কৌশলগত জলবায়ু তহবিলের (এসসিএফ) ২৬.৩৮ মিলিয়ন ডলার ঋণ ও ২.৮৭ মিলিয়ন ডলারের অনুদান।
বিশ্ব ব্যাংকের অঙ্গভুক্ত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) ঋণ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। সেই সঙ্গে থাকছে পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ড। যেখানে সুদের হার ১.২৫ শতাংশ আর সার্ভিস চার্জ ০.৭৫ শতাংশ।
এসসিএফের ঋণ পূর্ণতা লাভ করবে ৪০ বছরের মধ্যে। গ্রেস পিরিয়ড থাকছে ১০ বছর। এছাড়া সার্ভিস চার্জ রাখা হচ্ছে ০.১ শতাংশ।