সন্দেহজনক লেনদেন হলে জব্দ হবে ব্যাংক হিসাব
সন্দেহজনক লেনদেন ও মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে এবং অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনস্থ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদরা যাতে ব্যাংক থেকে অর্থ স্থানান্তর ও পাচার করতে না পারেন, সেজন্য বিএফআইইউয়ের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএফআইইউয়ের আর্থিক গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছে, পরিচিত বা স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে অর্থছাড় দেওয়া হলেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দেশের সব রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান ও অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ হুঁশিয়ারি দেয় বিএফআইইউ।
এর আগে, বুধবার সকালে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হামলার শিকার হন বিএফআইইউ প্রধান।
বিএফআইইউ সূত্র জানায়, অনেক দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বুধবার ইসলামী ব্যাংক একটি প্রতিষ্ঠানের ৫৪৮ কোটি টাকার চেক প্রত্যাখ্যান করে।
এরপর মানি লন্ডারিং ও অবৈধ অর্থের লেনদেন রোধে এমন ব্যবস্থা নিল বিএফআইইউ।