শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতিতে সম্পৃক্ততা আবারও অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
হোয়াইট হাউসের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, 'এটা হাস্যকর।'
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার পদত্যাগের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অনেক অপপ্রচার দেখছি।'
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল ইকোসিস্টেম জুড়ে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের অংশীদারদের সঙ্গে তথ্যের শুদ্ধতা নিশ্চিতে তারা সর্বোচ্চ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে হোয়াইট হাউস শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথা নাকচ করে দিয়ে বলেছে, এটি মিথ্যা।
গত সোমবার (১২ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। এসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার জড়িত ছিল- এমন যেকোনো প্রতিবেদন বা গুজব কেবলই মিথ্যা। এটি সত্য নয়।'
তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব সিদ্ধান্ত এবং তারাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রেস সেক্রেটারি বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণেরই বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা উচিত এবং আমাদের অবস্থানও সেটিই।'
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের যেকোনো অভিযোগ এলে নিশ্চিতভাবে আমরা বলব এটি একেবারেই সত্য নয়; যেমন আমি এখনও বলছি।
সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মিত্রদের জানিয়েছেন তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা বা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল বাংলাদেশের একটি দ্বীপ তাদের দিয়ে দিক। আর যেহেতু তারা এতে রাজি হয়নি তাই তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
প্রেস সেক্রেটারি বলেন, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।