এবি পার্টিকে নিবন্ধন দিতে ইসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
রাজনৈতিক দল হিসেবে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি) পার্টিকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিট ও রুল চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে সোমবার (১৯ আগস্ট) রায় দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, তিনি দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক।
রায় ঘোষণার পর মামলার আইনজীবী ও এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ আদালত চত্বরে তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিং করেন।
ব্রিফিংয়ে মামলার প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, 'মাননীয় আদালত আজ যে রায় দিয়েছেন তাতে এবি পার্টির ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন যে হটকারী এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী কাজ করেছেন তা আজ স্পষ্ট হয়েছে।'
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, 'পদে পদে বাঁধা দিয়ে নির্বাচন কমিশন আমাদের নিবন্ধন বঞ্চিত করেছিল। এবি পার্টির প্রতি দলান্ধ নির্বাচন কমিশন যে অবিচার করেছে জনগণ তার বিচার করবে।'
মামলার রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা শুভেচ্ছা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে আসেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট দলটির আহ্বায়কের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে, এবি পার্টিকে কেন নিবন্ধ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
একই বছরের ২৪ জুলাই দলটির নিবন্ধনের আবেদন খারিজ করে নির্বাচন কমিশন একটি চিঠি দেয়। সে চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে দলটির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী।
আইনজীবী তাজুল ইসলাম জানান, ২৪ জুলাই চিঠি দিয়ে জানায় ১০৪টি উপজেলার দেওয়া তথ্যের মধ্যে ২৫টি সঠিক। বাকি ৭৯টির শর্ত পালনের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, কিন্তু কোন কোন উপজেলার শর্ত পালনের তথ্য ঠিক নেই, তা উল্লেখ করা হয়নি। আমাদের বক্তব্য হলো ১০৪টি উপজেলার সঠিক তথ্য দিয়েছি। এরপরও নিবন্ধন দেয়নি।
২০২০ সালের ২ মে আত্মপ্রকাশ করে এবি পার্টি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির থেকে বের হয়ে গিয়ে কিছু নেতা-কর্মী এই দল গঠন করে।