এবার বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে বৈদ্যুতিক ত্রুটি গোপনের অভিযোগ সাবেক কর্মীর
এবার বিমানের বৈদ্যুতিক ত্রুটির তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছে মার্কিন বিমান তৈরিকারক কোম্পানি বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে। মূলত ক্যাম্পেইনিং গ্রুপ দ্য ফাউন্ডেশন ফর এভিয়েশন সেইফটির পক্ষ থেকে এমনটা দাবি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৯ সালে ইথিওপিয়ায় বিধ্বস্ত হওয়া ফ্লাইট ৩০২ বিমানটিতে বেশ কয়েকটি ত্রুটি ছিল। যার মধ্যে কম উচ্চতায় ঠিকঠাক পরিচালনা করতে না পারার মতো বিষয়টি অন্যতম।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে চলাচলকৃত এক হাজারেরও বেশি বিমানে উৎপাদনগত ত্রুটির ফলে সম্ভাব্য বৈদ্যুতিক সমস্যা থাকতে পারে। যার অংশ হিসেবে আদ্দিস আবাবায় ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের প্লেনটি উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল।
বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের বিমান দুর্ঘটনা এবারই প্রথম নয়। বরং ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়াতেও একই মডেলের বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, "আমরা তদন্তকারী সংস্থার সাথে আরও কিছু তথ্য যোগ করতে চাই। এক্ষেত্রে বিধ্বস্তের উভয় ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে খারাপভাবে ডিজাইন করা ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমকে দায়ী করা হয়েছিল। যা মূলত সেন্সর ফেইলিয়রের কারণে ভুল সময়ে সক্রিয় হয়েছিল।"
ফাউন্ডেশনটি নিজেদের ওয়েবসাইটে বোয়িং কর্মকর্তার ফাস করা কিছু ডকুমেন্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে রয়েছে ইথিওপিয়ায় বিধ্বস্ত বিমানের রেকর্ডও। ঐ নথিতে দেখা যায়, নির্মাণকালীন সময়েই বিমানটির বেশকিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
এক্ষেত্রে দাবি করা হয় যে, নথি থেকেই স্পষ্টভাবে দেখা যায় বিমানগুলো নির্মাণের সময় ৭৩৭ ফ্যাক্টরিতে বেশ বিভ্রান্তিরকর ও গোলযোগপূর্ণ কার্যক্রম চলছিল।
ফাউন্ডেশনটি জানায়, নথিগুলি সরকারি কর্তৃপক্ষ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, এয়ারলাইন্সটির গ্রাহক, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং জনসাধারণের কাছ থেকে গোপন করা হয়েছিল। যার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে বোয়িং-এর কারখানায় পদ্ধতিগত উত্পাদনের ক্ষেত্রে মানের ত্রুটিগুলো অব্যাহত রাখা হয়েছিল।
দ্য ফাউন্ডেশন ফর এভিয়েশন সেইফটির প্রতিষ্ঠাতা এড পিয়ারসন। তিনি বোয়িংয়ের সাবেক ম্যানেজার। বহু আগে থেকেই তারা কোম্পানিগুলোর বিমান বিধ্বস্তের পেছনে নির্মাণকালীন সময়ের ত্রুটির কথা বলে আসছেন। যদিও কোম্পানিটির পক্ষ থেকে সেটি অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে চলতি মাসে বোয়িংয়ের নতুন নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন কেলি ওরটবার্গ। তিনি কোম্পানিটি পুনরায় আস্থা অর্জনে কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান