আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্পেসএক্সের রকেটে করে ফিরবেন মহাকাশে আটকা পড়া দুই নভোচারী
গত দুই মাস ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে আছেন নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। এবার এই দুই মহাকাশচারীকে স্পেসএক্সের মাধ্যমে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নাসা। খবর বিবিসির।
মাত্র আট দিনের মিশনে গত ৫ জুন বোয়িং নির্মিত স্টারলাইনার রকেটে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনিতা ও বুচ। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এখন তাদের প্রায় দীর্ঘ ৮ মাস অরবিটে অবস্থান করতে হবে।
যাত্রাপথে স্টারলাইনার যানটির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। এক্ষেত্রে নতুন ওই রকেটে প্রপালশন সমস্যা ও হিলিয়াম লিক হওয়ার কথা জানিয়েছে বোয়িং। উৎক্ষেপণের একদিন পর ৬ জুন ক্যাপসুলটি স্পেস স্টেশনের কাছাকাছি যাওয়ার সময় এর পাঁচটি থ্রাস্টার নষ্ট হয়ে যায়।
নভোচারীদের জন্য বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য বোয়িং ও স্পেসএক্সের সাথে বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে নাসা। এক্ষেত্রে বোয়িং ৪.২ বিলিয়ন ডলার ও স্পেসএক্সের সাথে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করা রয়েছে।
স্পেস এক্স এখন পর্যন্ত নাসার হয়ে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের সাথে সাথে মহাকাশে নয়টি ক্রু ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন। তবে বোয়িংয়ের জন্য এটিই ছিল প্রথম ক্রু মিশন।
নাসা ও বোয়িংয়ের প্রকৌশলীরা কয়েক মাস ধরেই স্টারলাইনার ক্রাফটির প্রযুক্তিগত ত্রুটি বোঝার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে তারা মহাকাশ ও পৃথিবীতে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল সমস্যার সমাধান করে নভোচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা।
গতকাল (শনিবার) নাসার প্রশাসক বিল নিলসন জানান, স্পেসক্রাফটের কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নতি করা যায় সে বিষয়ে আমাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বোয়িং। একইসাথে মহাকাশে নিরাপদ যাত্রাও যে অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে সেটি স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুনিতা (৬১) ও বুচ (৫৮) আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পৃথিবীতে ফেরতের পরিকল্পনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। এই সময়ে তারা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও স্পেস মেইনটেন্স নিয়ে কাজ করবেন।
এদিকে আলাদা এক বিবৃতিতে বোয়িং জানায়, প্রতিষ্ঠানটি ক্রু ও স্পেসক্রাফটের নিরাপত্তা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। একইসাথে তারা নাসার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান