বিনিয়োগের নামে সৌদি আরবে অর্থপাচারের অভিযোগ নিয়ে যা বললো বেক্সিমকো ফার্মা
বেক্সিমকো গ্রুপের অর্থপাচারের অভিযোগে বাংলাদেশে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত শুরু করেছে। সেখানে সৌদি আরবের একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগের নামে বেক্সিমকো ফার্মার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগও রয়েছে।
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ায় বেক্সিমকো ফার্মা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিটি লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ এবং কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিআইডি'র অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সৌদি আরবের একটি ওষুধ কোম্পানি জুবাইল ফার্মাতে বিনিয়োগের নামে বেক্সিমকো ফার্মা অর্থপাচার করেছে।
কিন্তু বেক্সিমকো ফার্মা সৌদি আরবের জুবাইল ফার্মায় সরাসরি কোন বিনিয়োগ করেনি। কোম্পানিটিকে কারিগরি সহায়তা দেয়ার জন্য বেক্সিমকো ফার্মার সাথে একটি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির অংশ হিসেবে, তারা সৌদি আরবের ওই কোম্পানির কিছু শেয়ার পেয়েছে। কিন্ত্ সেখানে কোন অর্থ বিনিয়োগ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা।
বেক্সিমকো ফার্মা আরও জানায়, সৌদি কোম্পানির শেয়ার ধারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেয়া হয়েছে। তবে কী পরিমাণ শেয়ার পেয়েছে– সে বিষয়ে বেক্সিমকো ফার্মা কোন তথ্য দেয়নি।
বেক্সিমকো ফার্মা আরও জানায়, জুবাইল ফার্মা এখনও অপারেশনে আসেনি। তবে এই কোম্পানির কার্যক্রমে বেক্সিমকো ফার্মা কোনভাবেই জড়িত নয়।
এদিকে বেক্সিমকো গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি বিষয়ে ফার্মা কোম্পানিটি জানায়, এই ঋণগুলোর সাথে বেক্সিমকো ফার্মা জড়িত নয়। বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনস্ত কোম্পানি হলেও – বেক্সিমকো ফার্মা সম্পূর্ণ আলাদা ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়।
সালমান এফ রহমাননের বিষয় প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তিনি কোম্পানিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে রিমান্ড শেষে জেলে রয়েছেন। বেক্সিমকো ফার্মার দৈনন্দিন কার্যক্রমে সালমানের কোনও ভূমিকা নেই।