রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কয়েকটি গণমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করলো মেটা
ফেসবুকের মালিক মেটা রাশিয়ার কয়েকটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছে। মেটা অভিযোগ করেছে, এই গণমাধ্যমগুলো প্রভাব বিস্তার এবং শনাক্তকরণ এড়ানোর জন্য প্রতারণামূলক কৌশল ব্যবহার করছে।
মেটার এ পদক্ষেপ অনুসারে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কয়েকটি গণমাধ্যম- রোসিয়া সেগোদনিয়া, আরটি এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মেটার অ্যাপগুলোতে এসব গণমাধ্যম নিষিদ্ধ।
যদিও আরটির সংবাদ পাঠক ইউনান ও'নিল বলেছেন, তাদের চ্যানেল এবং রাশিয়া এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছে।
নিষেধাজ্ঞাগুলো আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মেটা।
বিবিসি ওয়াশিংটনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাস ও রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা স্পুটনিকের মালিক রোসিয়া সেগোদনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পাশ্চাত্য দেশুগলোর রাজনীতিতে রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে। তাই এ গণমাধ্যমগুলোকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ফেসুবকের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও থ্রেডসের মালিকানাও রয়েছে মেটার।
রাশিয়ার গণমাধ্যম চ্যানেল আরটি বিবিসিকে জানিয়েছে, আরটিকে আরো কঠোরভাবে আঘাত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে।
আরটি আরও বলেছে, "চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনারা যেখানে দরজা-জানালা বন্ধ করে দিবেন, সেখানে আমাদের 'যোদ্ধারা' ফাটল খুঁজে নিবে। আপনারাই স্বীকার করেছেন, আমরা এ কাজে পারদর্শী।"
রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে মেটার এ পদক্ষেপ সবচেয়ে বড় সামাজিক গণমাধ্যমটির অবস্থানকে আরো কঠোর করে তুলছে।
দুই বছর আগে মেটা সীমিত আকারে রাশিয়ার গণমাধ্যমের বিস্তার রোধে পদক্ষেপ নিয়েছিল। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইইউ, যুক্তরাজ্য ও ইউক্রেনের অনুরোধে সেসব অঞ্চলে মেটা রাশিয়ার কিছু গণমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে যে আরটি একটি টেনেসি প্রতিষ্ঠানকে ১০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে মার্কিন দর্শকদের কাছে গোপন রাশিয়ান সরকারি বার্তা পৌঁছানোর জন্য।
গত সপ্তাহে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরটির বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আরটিকে 'রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার একটি বাহিনী' বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, "আরটি গোপনে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে।"
আরটি সামাজিক যোগাযোগের আরেকটি মাধ্যম এক্স-এ লাইভস্ট্রিম করেছে এবং বলেছে, "যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।"