একদলীয় শাসনের পরিণতি দেখলাম, একপক্ষীয় কায়েম হলে কী হবে?
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের ফলে গত ৮ আগস্ট গঠিত সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী বা উপদেষ্টাদের কেউ কেউ কি শপথ ভঙ্গ করছেন?
এ প্রশ্নের উত্তরে তাদের শপথের প্রেক্ষাপটের পাশাপাশি তারা কী বলে শপথ নিয়েছেন সেটা দেখতে হবে।
জনগণের মধ্যে থাকা আগের ক্ষোভ-বিক্ষোভের সঙ্গে শত শত মানুষের মৃত্যুর কারণে তীব্র আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগে বাধ্য হন। ছাত্রজনতা তার বাসভবন গণভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে থাকায় দেশও ছেড়ে যান তিনি।
এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সেনা প্রধান একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা জানান।
আর রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে পরদিন জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। পাশাপাশি আপিল বিভাগে যে রেফারেন্স পাঠান, তাতে সংবিধানের সর্বোচ্চ ব্যাখ্যাকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে সর্বোচ্চ আদালত একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে আইনি বৈধতা দেন।
সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপিল বিভাগের মতামত চাইতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রেক্ষাপটে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি পরবর্তী সরকার গঠন বিষয়ে আপিল বিভাগের মতামত চেয়েছিলেন।
'সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার একটি চিঠি আসে। ওই চিঠিতেই রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামত জানতে চান। সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা, প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাদের নিয়োগ এবং শপথ পাঠ করানো যেতে পারে বলে মতামত দিয়েছেন।' (দৈনিক প্রথম আলো)
এর মানে হচ্ছে, বর্তমান সরকার বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী একটি বৈধ সরকার। যে সংবিধান অনুযায়ী তাদের শপথ; তারা সেই সংবিধানের আপদকালীন রক্ষকও।
যেহেতু তারা নির্বাচিত নন, যেহেতু তারা গণঅভ্যুত্থানের ফলে একটি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে শপথ নেওয়া সরকার, এবং যেহেতু তারা একটি অন্তর্বর্তী সরকার; তাই তাদের কেউ প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেননি। তারা শপথ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টা হিসেবে।
তাদের সবাই বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদের ২ উপধারায় প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর শপথবাক্য অনুযায়ী শপথবাক্য পাঠ করেছেন। একজন প্রধানমন্ত্রী শব্দের বদলে প্রধান উপদেষ্টা, অন্যরা মন্ত্রীর জায়গায় উপদেষ্টা বলেছেন।
তবে, তাদের শপথবাক্য পাঠ হয়েছে ১৪৮ অনুচ্ছেদের ২ উপধারা অনুযায়ীই।
সেখানে লেখা আছে: 'আমি... সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ করিতেছি যে, আমি আইন-অনুযায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী (কিংবা ক্ষেত্রমতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী) পদের কর্তব্য বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব; আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব; আমি সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করিব এবং আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন-অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করিব।'
এ শপথবাক্যে সবগুলো বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে দুটো এখানে আলোচনা করতে চাই-
১. আমি সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করিব।
এবং
২. আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন-অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করিব।
প্রথম বিষয়টি বিশ্লেষণ করলে আমরা বুঝতে পারি যে, বর্তমান উপদেষ্টামণ্ডলী এমন কিছু করতে পারবেন না যা বর্তমান সংবিধানকে:
ক. রক্ষা করে না
খ. বর্তমান সংবিধানকে সমর্থন করে না
গ. বর্তমান সংবিধান নিরাপদ থাকে না।
এখন সরকার যে সংবিধান সংস্কার কমিশন করেছে, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সেটা তারা করতে পারেন। কারণ এটা সংস্কার।
কিন্তু, নতুন সংবিধান কি করতে পারেন? বা, সংবিধান নতুন করে লিখতে পারেন? যে সংবিধান অনুযায়ী তারা সরকার গঠন করেছেন, যে সংবিধান অনুযায়ী তারা শপথ নিয়েছেন; সেই সংবিধান অনুযায়ী তারা সেটা করতে পারেন না। কারণ শপথবাক্য অনুযায়ী তারা 'সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করিব' বলে শপথ নিয়েছেন। এ সংবিধান মানে বর্তমান সংবিধান।
এখন পর্যন্ত যেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে নতুন সংবিধান বা সংবিধান নতুন করে লেখার কথা কিছু বলা হয়নি, শুধু সংবিধান সংস্কারের কথা বলা হয়েছে; তাই বলা যায় সরকার ঠিক পথেই আছে।
কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে অন্য জায়গায়। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিকের জায়গায় যে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজকে প্রধান করা হয়েছে, তিনি সংবিধানের পুনর্লিখন চান।
সম্প্রতি ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আমার সরাসরি শিক্ষক আলী রীয়াজ তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে কনস্টিটিউশনাল অ্যাসেম্বলি (গণপরিষদ) করে হলেও সংবিধান পুনর্লিখন জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, 'আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, সংবিধানের পুনর্লিখন করতে হবে। এর বাইরে আপনি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করতে পারবেন না।' (দৈনিক সমকাল)
তিনি বলেছেন, 'সংবিধান পুনর্লিখনের কথা বলছি এই কারণে যে, সংবিধান সংশোধনের উপায় নেই। বর্তমান সংবিধান সংশোধনের উপায় সীমিত। কারণ, সংবিধানের এক–তৃতীয়াংশ এমনভাবে লেখা যে তাতে হাতই দেওয়া যাবে না। এর মধ্যে এমন সব বিষয় আছে, যেগুলো না সরালে কোনো কিছুই করতে পারবেন না। এ কারণে পুনর্লিখন শব্দটা আসছে। পুনর্লিখনের পথ হিসেবে গণপরিষদের কথা বলছি। আর কোনো পথ আছে কি না, আমি জানি না।' (দৈনিক সমকাল)
সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে তিনি নিশ্চয়ই সব পক্ষের বক্তব্য শুনেই তার সুপারিশমালা তৈরি করবেন। কিন্তু, অনেকের প্রশ্ন থাকবে এবং আছে: সংবিধান অনুযায়ী গঠিত সরকার কেন এমন একজনকে কমিশন প্রধান করবে যিনি, যে সংবিধানে বর্তমান সরকার গঠিতে হয়েছে সেই সংবিধান পাাল্টে দিয়ে সংবিধানের পুনর্লিখন চান?
এমন প্রশ্নও উঠছে যে, 'বর্তমান 'সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করিব' বলে যে সরকার গঠিত হয়েছে তারা কি একে 'রক্ষা' না করে, 'সমর্থন' না করে এবং এর 'নিরাপত্তা' বিধান না করে নিজেদেরকেই অস্বীকার করার উদ্যোগ নিয়েছেন?
একটি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠিত হলে সেই সরকার আগের কোনো কিছুই রাখে না। আগের সংবিধানও থাকে না। সাংবিধানিক বৈধতার কথাও চিন্তা করে না। এ্রখানে এ সবই চিন্তা করা হয়েছে। কারণ ড. আলী রীয়াজের ভাষাতেই ৫ আগস্ট যেটা হয়েছে সেটা বিপ্লব বা দ্বিতীয় স্বাধীনতা না, এটা গণঅভ্যুত্থান।
সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন: 'এটি গণঅভ্যুত্থান, গণমানুষের অভ্যুত্থান। গণঅভ্যুত্থান এই কারণে যে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে স্বৈরাচারকে হটানো হয়েছে। আর বিপ্লব বলব না এ কারণে যে, বিপ্লবের পর নেতৃত্বদানকারীরা সরকার গঠন করে। এক্ষেত্রে তা হয়নি। এটাকে আমি দ্বিতীয় স্বাধীনতাও বলব না। কারণ আমি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে চাই। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের পরও সেটিকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলা হয়েছিল। এবার বাংলাদেশের জনগণের অর্জন স্বৈরাচারী ব্যবস্থার প্রতি চ্যালেঞ্জ। জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এটা অর্জন হয়েছে, ফলে আমি এটাকে গণঅভ্যুত্থান বলি।' (দ্য ডেইলি স্টার)
এই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকারের হাত ধরে আমরা কি নতুন করে সংবিধান লেখার পথে যাচ্ছি? সেই সংবিধান চূড়ান্ত করার পথে নিশ্চয়ই বর্তমান সরকারকে বৈধতা দেওয়া হবে। তবে, সেটা নিশ্চয়ই 'চট' করে হবে না। যদিও এ প্রক্রিয়া থেকে একটি পক্ষকে 'টুপ' করে ফেলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
এক্ষত্রে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের একটি বক্তব্য আমরা দেখেছি। আলী রীয়াজের মতো সরাসরি না হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তিনিও আমার শিক্ষক।
আসিফ নজরুল বলেন, 'সংস্কার বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হবে। যারা গণহত্যা চালিয়েছে, হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে, যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে না। এটা আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য।' (বাংলা ট্রিবিউন)
আওয়ামী লীগ সরকারের অপরাধের বিষয়ে নিশ্চয়ই কেউ তার সঙ্গে দ্বিমত করবেন না। গণতন্ত্রকে হত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম, দুর্নীতি-লুটপাট এবং সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট মাসে গণহারে ছাত্রজনতাকে হত্যার কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় নিতে হয়েছে। শুধু ক্ষমতা থেকে বিদায় নয়, তাদের সেসব অপরাধের বিচার হতে হবে, বিচার শুরুর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
বর্তমান সরকারকে ছাত্রজনতা সেই দায়িত্ব দিয়েছে। বিচার বিভাগ নিশ্চয়ই তাদের দায়িত্ব পালন করবে। মানুষ সেটা দেখতে চায়।
কিন্তু, সংবিধান অনুযায়ী সরকার পরিচালনায় কোনো উপদেষ্টা 'ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন-অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করিব' বলে যে শপথ নিয়েছেন, সেই শপথ অনুযায়ী তিনি কি রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি নির্মাণে 'বিরাগের বশবর্তী' হয়ে কোনো পক্ষকে নাকচ করে দিতে পারেন? সেটা কি 'যথাবিহিত' আচরণ হবে?
আবার শুধু যে তিনি একা, তাও না। কারণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, 'এটা আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য'। মানে এটা উপদেষ্টা পরিষদের অবস্থান।
তাহলে আগের 'স্বৈারাচারী এবং ফ্যাসিস্ট' সরকারের সঙ্গে তাদের পার্থক্য কী থাকল? অপরাধের বিচার এক বিষয়, আর 'বিরাগের বশবর্তী' হয়ে 'যথাবিহিত' আচরণ না করে কোনো দলকে প্রায় নিষিদ্ধ করে দেওয়া ভিন্ন।
সেক্ষেত্রে উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ নজরুলের আগের বক্তব্যটি আমরা মনে করতে পারি।
আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদানকারী দল, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে এই দলটির অবদান ছিল। গত ১৫ বছরে তারা যা করেছে, এটি তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে যায় না, সেটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্বরতম এক ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। এই কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যক্তিগত দায় থাকতে পারে। নেতাদের সামষ্টিক দায় থাকতে পারে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে বলছেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে বলে মনে হয় না। (প্রথম আলো)
এর মানে হচ্ছে, 'বর্বরতম ফ্যাসিবাদ কায়েম করার জন্য তিনি নেতাদের ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক' দায় দেখলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করেননি (তার ব্যক্তিগত মত)। অথচ এখন যখন সংস্কারের কথা আসছে, তখন 'বিরাগের বশে' দেশের ৫০ শতাংশ রাজনৈতিক কর্মীর মতামতকে তিনি (সরকার) বিবেচনায় নিতে চাচ্ছেন না।
নতুন সংবিধান যদি আগামী কয়েক বছরের জন্য হয়, তাহলে ওই পক্ষকে বিবেচনায় না নিলেও হবে। যদি এটা অনাগতকালের জন্য ভাবা হয়ে থাকে, তাহলে কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে বাইরে রাখা কতটা যৌক্তিক? অতীতে বাংলাদেশ এ ভুল করেছে। একাধিকবারই করেছে। বর্তমান সরকারও কি সেটা করতে চায়?
মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ যে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল, তার ফল তারা পেয়েছে, পাচ্ছে এবং আদালতে বিচার শুরু হলে আরো পাবে। সেই একদলীয় শাসনের বিপরীতে এখন একপক্ষীয় শাসন কায়েম হলে ভবিষ্যতে তার পরিণতিও ভালো হবে না। বাংলাদেশ মানে শুধু আমাদের জীবৎকাল নয়। আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য যা কিছু করা সম্ভব, সবকিছু করেও ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেননি শেখ হাসিনা।