খেলাপি ঋণের দায়ে মোস্তফা গ্রুপের শেয়ার হস্তান্তরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা
ঋণ খেলাপি মামলায় ওয়ান ব্যাংকে থাকা মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্সের ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ২১০টি শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
২৮০ কোটি টাকা পাওনার বিপরীতে ন্যাশনাল ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, "এর আগে ন্যাশনাল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা, মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্সের শেয়ার বিক্রি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে সেগুলো অগ্রিম ক্রোক করার জন্য আদালতে আবেদন জানায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আদালত এই রায় দেন।"
আদালতের তথ্যমতে, ২৮০ কোটি টাকা পাওনা আদায়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে মোস্তফা কমপ্লেক্সের ৯ কর্ণধারের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে জারি মামলা দায়ের করে ন্যাশনাল ব্যাংক। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তাইসির রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান, তার বাবা হেফাজতুর রহমান, চাচা মোহাম্মদ কপিল উদ্দিন, মোহাম্মদ শফিক উদ্দিন, জহির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, কামাল উদ্দিনকে বিবাদি করা হয়েছে।
ন্যাশনাল ব্যাংক উল্লেখ করে, মোস্তফা কমপ্লেক্সের পরিচালক হেফাজতুর রহমান ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের বন্ধকদাতা ও গ্যারান্টার হিসেবে রয়েছেন। ওয়ান ব্যাংক পিএলসিতে হেফাজতুর রহমানের ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ২১০টি শেয়ার আছে- যার মূল্য ১ কোটি ৫৩ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা।
ন্যাশনাল ব্যাংক আবেদনে উল্লেখ করে, মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্সের মালিকরা ঋণ খেলাপি। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংকে মামলা আছে। ব্যাংক যে টাকাগুলো পাবে, সেগুলো প্রকারান্তরে জনগণের টাকা। তারা শেয়ারগুলো বিক্রি করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে ভোগ্যপণ্য, পরিবহন ও জাহাজভাঙ্গা শিল্পে দীর্ঘ সময় দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করেছে মোস্তফা গ্রুপ। সেই মোস্তফা গ্রুপের অবস্থা এখন নাজুক। বন্ধ হয়ে গেছে গ্রুপটির ভোগ্যপণ্য, শিপ ব্রেকিং, কৃষি, কাগজ, মৎস, পরিবহণ, শিপিং, সিকিউরিটিজ ও পোশাক খাতের বহু প্রতিষ্ঠান।
এই শিল্প গ্রুপের কাছে ব্যাংকসহ ৩০টিরও বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা ২,৫০০ কোটি টাকা। এসব পাওনা শোধ না করে ২০১৯ সালে কানাডায় পাড়ি জমান গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন।