অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন শান্ত!
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ভারতীয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ তাদের খবরে এমনই জানিয়েছে। তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন শান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট শেষেই এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সরে দাঁড়াতে পারেন বলে ক্রিকবাজের খবরে বলা হয়েছে।
প্রাথমকিভাবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত শান্তকে অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু এর আগেই তার দায়িত্ব ছাড়ার খবর চাওড়। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে নিজের পরিকল্পনার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন শান্ত। দেশের বাইরে থাকায় তার অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি ফারুক। বিসিবির সভাপতির মতামত জানার অপেক্ষায় আছেন শান্ত।
ক্রিকবাজকে বিসিবির একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা জানিয়েছেন শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়টি। এই কর্মকর্তা বলেছেন, 'শান্ত আমাদেরকে জানিয়েছে সে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর অধিনায়ক থাকতে চায় না।' শান্ত নিজেও এই বিষয়ে বলেছেন, 'দেখা যাক বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারটি কী হয়। বিসিবি সভাপতির আমাকে এখনও কিছু জানাননি।'
শান্ত যেন তার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন, এ জন্য বিসিবির একজন সিনিয়র পরিচালক তাকে অনুরোধ করলেও সেটি ফলপ্রসু হওয়ার সম্ভাবনা কম। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন শান্ত। কিন্তু এবার তিন ফরম্যাট থেকেই সরে দাঁড়াতে চান তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভরাডুবিই হয়তো শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার কারণ।
ক্রিকবাজের খবরে বলা হয়েছে, শান্ত অধিনায়কত্ব ছাড়লে টেস্ট এবং ওয়ানডের অধিনায়ক করা হতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজকে। টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক করা হতে পারে তাওহিদ হৃদয়কে। শান্তর নেতৃত্বে বাংলাদেশ নয়টি টেস্ট খেলে তিনটিতে জিতেছে, হেরেছে ছয়টি। ওয়ানডেতেও একই ফল। ২৪ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে ১০টি ম্যাচে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন শান্ত।