শেরপুরে ফাঁদ পেতে বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় মামলা, কৃষক গ্রেপ্তার
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিদ্যুতের তারের ফাঁদ পেতে বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় স্থানীয় এক কৃষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম শহীদুল ইসলাম। আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৩ থেকে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বন্যহাতির একটি দল বাতকুচি এলাকায় নেমে এলে কয়েকজন কৃষক ফসল রক্ষায় জমিতে জেনারেটরের বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া তার ফেলে রাখেন। রাত ১০টার দিকে মধুটিলা ইকোপার্কের বাতকুচি টিলাপাড়া এলাকায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়। আনুমানিক ১০/১২ বছর বয়সি মাদি হাতিটির মরদেহ পরদিন শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ঘটনাস্থলেই মাটিচাপা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তিনি বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ৩৬ (১)/৪২ ধারায় (অপরাধ ও সাজা) অভিযোগ আনা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, বন্যহাতি হত্যামামলায় শহীদুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৩ থেকে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বন বিভাগ একটি জেনারেটর ও বেশ কিছু বৈদ্যুতিক তার জব্দ করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
শেরপুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন বলেন, আমাদের বনাঞ্চলের হাতিগুলো 'এশিয়ান এলিফ্যান্ট' জাতির। যা আইইউসিএন'র লাল তালিকাভুক্ত বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি বন্যপ্রাণী। এজন্য বন্যহাতি সুরক্ষার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।