সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে অস্কার জিতে ইতিহাস গড়লেন অ্যান্থনি হপকিন্স
সবদিক থেকেই স্মরণীয় হয়ে রইল ২০২১-এর অস্কার-এর রাত। দু'দুটি ভেন্যুসহ চলতি বছরের বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় পুরস্কার প্রদানের এই অনুষ্ঠান আলোচনায় এসেছিল পুরস্কারের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় বিভাগে অশ্বেতাঙ্গ শিল্পীদের নাম মনোনয়ন পাওয়ার সুবাদে। এবার এর সঙ্গে যোগ হলো অভিনেতা অ্যান্থনি হপকিন্সের নাম।
চলতি বছর অস্কারে 'দ্য ফাদার' ছবিতে দুর্ধর্ষ অভিনয়ের জন্য 'শ্রেষ্ঠ অভিনেতা'র সম্মান পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এক অনন্য নজির গড়লেন তিনি। ৯৩ বছরের অস্কারের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক বিজয়ী হিসেবে নিজের নাম তুললেন বছর ৮৩-এর এই অভিনেতা।
এর আগে ২০১২ সালে 'বিগিনার্স' ছবির সুবাদে অস্কারের গোল্ডেন ট্রফি পকেটস্থ করেছিলেন ৮২ বছরের ক্রিস্টোফার প্লামার। এতদিন পর্যন্ত অস্কারের সবচেয়ে বয়স্ক বিজয়ীর নেমপ্লেটে খোদাই করা ছিল তারই নাম। অবশ্য 'অল দ্য মানি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড' ছবিতে অভিনয়ের জন্য ২০১৮ সালে ৮৮ বছর বয়সে সহ-অভিনেতার বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। এখনো পর্যন্ত ওই বয়সী আর কেউ অস্কারের কোনো বিভাগে মনোয়ন পাননি।
ফেরা যাক অ্যান্থনি হপকিন্স প্রসঙ্গে। এই নিয়ে অস্কারের মঞ্চে দুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতলেন তিনি। যদিও দর্শকের একটি বড় অংশ আশা করেছিল এবারের 'সেরা অভিনেতা'র পুরস্কারটি পাবেন প্রয়াত অভিনেতা চ্যাডউইক বোসম্যান, "মা রেইনি'স ব্ল্যাক বটম" ছবির জন্য। তবে তা হয়নি।
চলতি বছরে 'বাফটা'তেও সেরা অভিনেতার খেতাব জয়ের পর অস্কারেও বজায় থাকল অ্যান্থনি হপকিন্সের বিজয়রথ। তবে জানিয়ে রাখা ভালো, এই বছরের 'বাফটা' কিংবা 'অস্কার' কোনো পুরস্কারের মঞ্চেই উঠতে দেখা যায়নি তাকে।
প্রসঙ্গত, এই প্রখ্যাত অভিনেতা প্রথমবার অস্কার জিতেছিলেন ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি 'দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্ব '-এ হ্যানিবল লেক্টরের ভূমিকায় অভিনয় করে।
উল্লেখ্য, মোট ৬ বার অস্কারের অভিনেতা, সহ অভিনেতার বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।