২০১১ সালের পর মে মাসে বিশ্বে খাদ্যের দাম সর্বোচ্চ
চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত টানা এক বছরের মতো বৈশ্বিক খাদ্যমূল্যের দাম বেড়েছে। সেইসাথে মে মাসে মাস হিসেবে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির হার ছিল এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের পর বর্তমানে সর্বোচ্চ খাদ্যপণ্যের দাম। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) এসব তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
সেইসাথে চলতি বছরে রেকর্ড পরিমাণ দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে এফএও। পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০২১ সালে ২৮২ কোটি ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় গত মে মাসে খাদ্যের দাম বেড়েছে ৩৯.৭ শতাংশ।
প্রতি মাসেই খাদ্য মূল্যসূচক হালনাগাদ করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। সারা বিশ্বের দানাদার শস্য, তেলবীজ, দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস ও চিনির দরের ওপর ভিত্তি করে খাদ্য মূল্যসূচক তৈরি করে এফএও। এফএও'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মে-তে খাদ্য মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ১২৭.১ পয়েন্ট। গত এপ্রিলে এ সূচক ১২১.৩ পয়েন্ট ছিল।
এফএও'র খাদ্যশস্য মূল্যসূচক অনুযায়ী, মাসিক হিসেবে মে-তে খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশ, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৩৬.৬ শতাংশ।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের মে-তে ভূট্টার মূল্যসূচক বেড়েছে ৮৯.৯ শতাংশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন বাড়ায় মাসের শেষের দিকে এসে কিছুটা দরপতন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে এফএও।
মে-তে উদ্ভিজ্জ তেলের মূল্যসূচক বেড়েছে ৭.৮ শতাংশ। পাম, সয়া ও সরিষার দাম বাড়ার কারণেই মূলত উদ্ভিজ্জ তেলের দামও বেড়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পামের উৎপাদন কমে আসায় পাম তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চাহিদার কারণে বিশেষ করে বায়োডিজেল খাতের চাহিদার কারণে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে।
চিনির মূল্যসূচক মাসের হিসেবে ৬.৮ শতাংশ বেড়েছে। ফসল তোলায় বিলম্ব এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ চিনি রপ্তানিকারক দেশ ব্রাজিলে ফসল উৎপাদন কমে আসায় চিনি মূল্যসূচক বেড়েছে বলে জানিয়েছে এফএও।
এপ্রিলের তুলনায় মাংসের মূল্যসূচক বেড়েছে ২.২ শতাংশ। দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্যসূচক মাসিক ও বাৎসরিক হিসেবে ১.৮ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ বেড়েছে।
- সূত্র: রয়টার্স