২০টি মাংস উৎপাদনকারী ফার্ম জার্মানি-ব্রিটেনের চেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে
বিশটি গবাদিপশুর কোম্পানি যে পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে জার্মানি, ব্রিটেন কিংবা ফ্রান্সও সে পরিমাণ গ্যাস নিঃসরণ করে না। এসব প্রতিষ্ঠান বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন পাচ্ছে।
গবাদি পশু বাড়লে কার্বন নিঃসরণও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। বিশ্বের মোট গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের ১৪.৫ শতাংশের জন্যই প্রাণী পালন ও প্রাণী প্রজনন দায়ী।
বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জলবায়ু সংকটকে মোকাবিলা করতে হলে ধনী দেশগুলোকে বিপুল পরিমাণে মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া কমাতে হবে।
২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মাংস দুগ্ধজাত খাবার উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো ৪৭৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ২ হাজার ৫০০ বিনিয়োগ ফার্ম, ব্যাংক ও পেনশন তহবিল থেকে অর্থায়ন পেয়েছে। অর্থায়নকারী অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপভিত্তিক।
সবচেয়ে বেশি মাংস উৎপাদন করে চীন, ব্রাজিল, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। ২০২৯ সালে এই দেশগুলো গোটা বিশ্বের ৬০ শতাংশ মাংস উৎপাদন করবে।
বিশ্বের মোট কৃষিজমির ৭৫ শতাংশই ব্যবহৃত হয় গবাদি পশু পালনে কিংবা তাদের খাবার উৎপাদনে। শুধু ব্রাজিলেই ১৭৫ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে গবাদিপশু পালন করা হয়। যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট কৃষি এলাকার সমান।
বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিকভাবে প্রাণী পালন প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করতে হলে মাংস শিল্পকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বড় আকারের মাংস ও প্রাণীজ প্রোটিন উৎপাদন প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করার জন্য বিশ্ব ব্যাংক ও ইউরোপিয়ান ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
- সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান