কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনার তদন্তে বড় অগ্রগতির দাবি পুলিশের
কুমিল্লার ঘটনার তদন্তের বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উচ্চপদস্থ সূত্র আজ বিকেলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার তদন্তে নাটকীয় মোড় এসেছে।
"আমরা ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট, মামলার দুই প্রধান আসামির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিবৃতি এবং ওই এলাকা সংলগ্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এগুলোর মাধ্যমেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছি আমরা। যে কোনো মুহূর্তে চূড়ামত ব্রিফিং আসতে পারে," বলেন তারা।
তদন্ত সূত্রটি নিশ্চিত করেছে, তারা প্রধান সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে।
এর আগে, মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, কুমিল্লার ঘটনার মূল অপরাধীকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঢাকার কুর্মিটোলায় র্যাবের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "প্রধান আসামি বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করছে। আমাদের বিশ্বাস, আমরা শীঘ্রই তাকে ধরতে পারব।"
কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ টিবিএসকে বলেন, "আমাদের তদন্তে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।"
গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআনকে অবমাননার যে অভিযোগ উঠে তার জেরে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মণ্ডপ, মন্দির, বাড়িঘর এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়, বাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।
পরে, পুলিশ প্রধান দুই আসামী - ফয়েজ আহমেদ এবং একরাম হোসেন কে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার দিন সকালে তারা দুজনই মণ্ডপে চিৎকার করছিল ও পরে ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে।
নানুয়ার দিঘির পূজা উদযাপনের আয়োজক দর্পণ সংঘের সভাপতি সুবোধ রায় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমরা মণ্ডপে কোরআন দেখিনি। সকালে দুজন লোক হঠাৎ চিৎকার শুরু করে যে প্রতিমার কোলে কোরআন রাখা আছে,"
মঙ্গলবার ফয়েজ আহমেদের দুই দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন ফেনীর এক আদালত।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, "কুমিল্লা সদরের আম্রতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা ফয়েজ সৌদি আরবে ছিলেন। প্রায় এক বছর আগে দেশে ফেরেন তিনি। বাড়ি ফেরার পর তিনি কুমিল্লা শহরে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিং দোকান খুলেছিলেন।"
তবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ফয়েজের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি তিনি।