এবার জিআই স্বীকৃতি পেল রাজশাহীর ফজলি আম
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আমের পর এবার ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেল রাজশাহীর ফজলি আম।
রসালো, আঁশবিহীন, বিশাল আকারের ফজলির জিআই নাম দেওয়া হয়েছে 'রাজশাহীর ফজলি আম'।
২০১৭ সালের মার্চে ফজলি আমের জিআই স্বীকৃতি জন্য আবেদন করেছিল রাজশাহীর ফল উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মিলল এই স্বীকৃতি।
গত ৬ অক্টোবর প্রকাশিত শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেড মার্ক তাদের 'দ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিকেশন'-এর ১০ নম্বর জার্নালে এই স্বীকৃতির তথ্য প্রকাশ করে। আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন।
আলীম উদ্দীন টিবিএসকে জানান, 'রাজশাহীর ফজলি আমের ১০০ বছর ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আম ১০০ বছর আগে কলকাতার বাজারে সমাদৃত ছিলো এবং পণ্য হিসেবে তার ব্যাপক চাহিদা ছিল। তার দীর্ঘ ইতিহাস-ঐতিহ্য থাকার জন্য আমি আবেদন করলে ৬ অক্টোবর তা জিআই সনদ পায়।'
ফজলি নাবী মৌসুমি জাতের আম। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারেও এ আম পাওয়া যায়। অন্য আমের চেয়ে ফজলি একটু দেরিতে বাজারে আসে। এটি পাকে জুলাই মাসের (আষাঢ়-শ্রাবণে) দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ফজলি সংগ্রহের সময়।
আঁশবিহীন, রসালো, সুগন্ধযুক্ত, সুস্বাদু ও মিষ্টি এ আম আকারে বেশ বড় ও চ্যাপ্টা হয়ে থাকে। ফলতি গড়ে প্রায় ১৪ সেন্টিমিটার লম্বা ও ৮ সেন্টিমিটার পুরু হয়। ফজলির গড় ওজন হয় প্রায় সাড়ে ৬০০ গ্রাম। বাংলাদেশের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ফজলি চাষের জন্য বিখ্যাত।