গোমূত্র, গোবর করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচাবে: বিজেপি নেত্রী
মারাত্মক করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে যখন ভুগছে সারাবিশ্ব, ঠিক সে সময়ই সকলকে হতবাক করে দিয়ে ওই ভাইরাসের নিরাময়ের উপায় বাতলে দিলেন আসামের এক বিজেপি বিধায়ক।
সুমন হরিপ্রিয়া নামের ওই বিধায়ক বলেন 'গোমূত্র এবং গোবর' করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। এখানেই শেষ নয়, আসাম বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি এই দাবিও করলেন যে, গোমূত্র এবং গোবর ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ নিরাময়েও সহায়ক ভূমিকা নেয়। খবর এনডিটিভির।
গোমূত্র আর গোবরের গুণাবলী বর্ণনা করে সোমবার আসামের বিধায়ক হরিপ্রিয়া বলেন, 'আমরা সবাই জানি, গোবর খুবই উপকারি ৷ এমনকি গোমূত্রও উপকারি ৷ কোনও এলাকা শুদ্ধিকরণ করার জন্য গোমূত্র ব্যবহার করা হয় ৷ তাই আমার মনে হয় করোনা ভাইরাস সারাতে এগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে৷'
সোমবার আসাম বিধানসভার বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বাংলাদেশে গবাদিপশু পাচার সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছিল। সে সময়েই ওই চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসেন আসামের বিজেপি বিধায়ক সুমন হরিপ্রিয়া।
তিনি বলেন, ভারত থেকে মূলত আসাম থেকে গরু পাচার করে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আর এইভাবেই সেদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে গরু পাচার নিয়ে তিনি আরও বলেন, 'আজকাল নদীপথেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গরু পাচার করা হয়।'
পাশাপাশি তিনি আসামের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে রাজ্যের গবাদি পশু বাজারের তদারকি করতে বলেন। কারণ তিনি মনে করেন যে 'ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধ বাণিজ্য চালাচ্ছে। পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে।'
তবে গরু পাচারের কথা বলতে বলতে ওই বিজেপি বিধায়ক যেভাবে গোমূত্র ও গোবরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকানো সম্ভব বলে আশ্চর্য দাবি করেন তাতে আসাম বিধানসভায় উপস্থিত অন্যান্য বিধায়করাও হতবাক হয়ে যান।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে ভারতের হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপানি মহারাজও বলেন, গরুর মূত্র ও গোবর গ্রহণ করলে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বন্ধ হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি 'ওঁম নমঃ শিবায়' বলবেন এবং গোবর গায়ে মাখবেন তিনি এই মারণ রোগ থেকে রক্ষা পাবেন।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ভারতে প্রায় ২৫ হাজার ৭৩৮ জনের ওপর কড়া নজরদারি চলছে এবং ৩৭ জনের শরীরে বর্তমানে কোভিড-১৯ লক্ষণ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দিল্লি ও তেলেঙ্গানায়ও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। চীনসহ বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজারের বেশি মানুষ।