সরকারকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান সিপিডির
কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সহজ করতে ও সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়ের বোঝা কমাতে সরকারকে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে আহ্বান জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানিয়েছে দেশের শীর্ষ এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, "জ্বালানির সর্বশেষ মূল্যবৃদ্ধি জনগণের ব্যয়ের বোঝাকে আরও তীব্র করে তুলবে। ইতোমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।"
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) বর্তমান লোকসান, গত সাত বছরে অর্জিত মুনাফা দিয়েই সামঞ্জস্য করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, "এছাড়া জ্বালানি বিক্রির ওপর কর কমিয়েও এই ঘাটতি সামঞ্জস্য করা যেতে পারে; যার পরিমাণ বছরে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা।"
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের অস্থিতিশীল মূল্য পরিস্থিতির কারণ উল্লেখ করে গত বুধবার লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করেছে সরকার।
এর প্রতিক্রিয়ায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেন। পরবর্তীতে বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ ও লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশ বাড়ানোর পর তিন দিনের ধর্মঘটের ইস্তফা দেন তারা।
অন্যদিকে, পরিবহন খরচ বাড়ার কারণ দেখিয়ে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়ে যায়।