শিবলী রুবাইয়াতের জারি করা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আদেশ বাতিল করল বিএসইসি
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতের পদত্যাগের পর তার জারি করা শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আদেশ বাতিল করা হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম আজ (১১ আগস্ট) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ সকালে শেয়ারবাজারের লেনদেন শুরুর আগেই বিএসইসি থেকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়ে দেওয়া হয়, শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের দেওয়া সেই আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, 'আমরা স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি তারা যাতে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আদেশ না মানে। নতুন আদেশ শীঘ্রই জারি করা হবে'।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে নিজ কার্যালয়ে আর যাননি সাবেক বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। কিন্তু গত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার বাসা থেকে তিনি সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকোসহ ছয় কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর প্রত্যাহার-সংক্রান্ত আদেশে সই করেন। এরপরই শনিবার (১০ আগস্ট) পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত বেক্সিমকো লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ও শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আদেশ জারি করেন। এর আগে মঙ্গলবার বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়।
পদত্যাগের ঠিক আগে হঠাৎ করে দুই বছরের এ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার আদেশ জারি করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন শিবলী রুবাইয়াত। অনেকে মনে করছেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সালমান এফ রহমান ও তার সহযোগীদের বেক্সিমকোর শেয়ার বিক্রি ও অর্থ তুলে নিতে সহায়তা করতেই তিনি এ কাজ করেছেন।
তবে, কমিশনের নিয়মিত কোনো বৈঠকের আলোচনা ব্যতীতই ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া এবং পরবর্তীতে তা বাতিলের সিদ্ধান্ত এসেছে।
বিএসইসির কর্মকর্তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান যদি কোনো সভায় অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়া প্রস্তাব না করেন তাহলে কমিশন চেয়ারম্যান নিজে থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।