চলমান অস্থিরতার মাঝে আশুলিয়া, সাভার ও গাজীপুরে ১৭০ কারখানা বন্ধ: বিজিএমইএ সভাপতি
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ-এর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আশুলিয়া, সাভার ও গাজীপুরের শিল্পাঞ্চলগুলোতে চলমান অস্থিরতার মধ্যে আজ অন্তত ১৭০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে।
'শ্রমিক আন্দোলনের কারণে বুধবার ১৬৭টি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। যদিও এ আন্দোলনে এসব কারখানার শ্রমিকদের সংশ্লিষ্টতা ছিল না। বহিরাগতদের হামলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে,' বলেন তিনি।
তবে, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারখানার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় মালিকেরা আগামীকাল কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
'এখন সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কঠোর অবস্থানে থাকবেন বলেছেন। তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে জানিয়েছেন। তাই কাল থেকে পোশাক কারখানা খোলা থাকবে,' বলেন তিনি।
তবে সার্বিক নিরাপত্তার দাবিতে আগামীকাল তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার কাছ থেকে নির্দেশনা চাইবেন বলেও উল্লেখ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
পোশাক কারখানায় যারা ঝামেলা করছেন তারা বহিরাগত জানিয়ে তিনি বলেন, 'অভ্যন্তরীণ সমস্যা খুবই কম। বহিরাগত কারা হামলা চালাচ্ছে তাদের চেনে না বিজিএমইএ। এরা কারখানার কার্যক্রম পরিচালনায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।'
বিজিএমইএর জেষ্ঠ্য সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, বর্তমান অস্থিরতায় পোশাক, ওষুধসহ অন্যান্য শিল্প কারখানাও প্রভাবিত, যার ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
কারখানার শ্রমিকেরা এসবের সঙ্গে জড়িত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কারখানার শ্রমিকরা যখন এসব বহিরাগতদের তাড়িয়ে দেয়, তখন দেখা যায় তারা আরও বড় দলবেধে এসে হামলা করছে। ফলে কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে।'
এ পরিস্থিতিতে শিল্প ও অর্থনীতির সুরক্ষায় প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিজিএমইএ নেতারা।