চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর হবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
বাজার ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কঠোরভাবে চাঁদাবাজি দমন করবে। এটি বন্ধ হলে মূল্যস্ফীতি আরো কমবে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি বারবার বলেছি চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে… এবিষয়ে আমরা কখনো নেতিবাচক কিছু বলিনি। অবশ্যই আমরা পদক্ষেপ নেব।
এ ব্যাপারে সরকার আরও কঠোর হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন অর্থ উপদেষ্টা।
চাঁদাবাজি বন্ধের বিষয়টি শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং এর সাথে বাণিজ্যও সম্পর্কিত উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন বলেন, এরসঙ্গে কিছু রাজনৈতিক সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ও জড়িত।
তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, শুধু মুখ বদল হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার কঠোরভাবে চাঁদাবাজি দমন করবে। তবে সেজন্য কিছুটা সময় লাগবে।
এসময় সাংবাদিকরা মূল্যস্ফীতির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগস্টে মূল্যস্ফীতি হার প্রায় ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশের কাছাকাছি ছিল, তবে তা কমে আসছে।
আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমার প্রভাব বাজারে পড়তে কিছুটা সময় লাগবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন তো যে মূল্যস্ফীতি কেন বাড়ল। টাকা ছাপিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন। এগুলোর প্রভাব উল্টো রথে আনতে হলে তো আমাদের একটু সময় লাগবে।
ইউএনডিপি প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনৈতিক খাত সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কারিগরি ও বিশেষজ্ঞ সহায়তা দেবে ইউএনডিপি। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারেও কাজ করবে। সরকারকে অর্থনৈতিক এবং কারিগরি সহায়তা দেবে তারা।
এ ছাড়া, ইউএনডিপির সঙ্গে চলমান প্রকল্পগুলো চলবে এবং আগামীতে আরও নতুন প্রকল্প নিয়ে বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করবে বলে জানান তিনি।
দেশে সরবরাহ বাড়াতে ভোজ্যতেল ও রাইস ব্রান অয়েল আরও আমদানি করা হবে বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।