ইরাক যুদ্ধের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় এক লাখ ৯২ হাজার কোটি ডলার
ইরাকে মার্কিন বিরোধিতা নতুন তীব্রতা লাভ করে ইরানি জেনারেল কাশেম সোলেইমানি হত্যার পর থেকেই। মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত সোলেইমানি ছিলেন ইরাকের আইএস জঙ্গি বিরোধী লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় সমর্থক। গত ৩ জানুয়ারি তাকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এ অবস্থায় ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে ইরাকে মার্কিন সেনাদের অবস্থান। তবে মার্কিন প্রশাসন যদি এই মুহূর্তে ইরাক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাতে মোট খরচের অংক দাঁড়াবে এক লাখ ৯২ হাজার ২শ’ কোটি ডলার।
মার্কিন কংগ্রেসের সর্বশেষ হিসাবের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নেটা সি ক্রফোর্ড।
ইরাকে যুদ্ধের খরচ হিসাবে পেন্টাগনকে দেওয়া বাজেট বরাদ্দ এবং ইরাকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা খরচ এর অন্তর্ভুক্ত। যুদ্ধ ফেরত সৈনিকদের শারীরিক এবং মানসিক চিকিৎসার ব্যয়, অবসরভাতা এমনকি ১৬ বছর ধরে দেশটিতে মার্কিন সামরিক সম্পৃক্ততার ব্যয় রয়েছে এই হিসাবে।
কংগ্রেসের হিসাবে ২০০৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল নাগাদ ইরাকে শুধু সামরিক অভিযান পরিচালনা ব্যয় বাবদ পেন্টাগন মোট ৮৩ হাজার ৮শ’ কোটি ডলার বরাদ্দ পায়। বরাদ্দের মাঝে ২০১৪ সালে থেকে আইএস বিরোধী লড়াইয়ের খরচও রয়েছে।
তবে ইরাকে ২০০৩ সালের সামরিক আগ্রাসনের সময় সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হয়। যুদ্ধকালীন সময়ে সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তা, নতুন সেনাদের অন্তর্ভুক্তি, বাড়তি বেতন এবং স্বাস্থ্য সেবা খরচ রাতারাতি বেড়ে যায়।
৯/১১ এর পর থেকে বিদেশের মাটিতে সামরিক অভিযান ও ঘাঁটি পরিচালনার মূল খরচ বেড়েছে ৮০ হাজার কোটি ডলার। এর মাঝে ইরাকে খরচ বাড়ে ৩৮ হাজার ২শ কোটি ডলার।
অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরাকে ৫ হাজার ৯শ কোটি ডলার নানা প্রকার উন্নয়ন সহযোগিতা হিসেবে ব্যয় করে। এছাড়াও, যুদ্ধ খরচ পরিচালনায় সরকারের ইস্যু করা ওয়ার বন্ডের প্রদত্ত সুদ দেওয়া হয়েছে ৪৪ হাজার ৪শ কোটি ডলার।