সুইং স্টেট: জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনার পর পেনসিলভানিয়ায় জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনায় গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সুইং রাজ্য পেনসিলভেনিয়াও ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এর ১৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। এসবের মধ্যে ২৬৫ টি ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ২৭০ ভোট প্রয়োজন। ট্রাম্প এ লক্ষ্যমাত্রার একদম কাছাকাছি।
বিবিসি'র মার্কিন সহযোগী সিবিএস নিউজ বলছে, পেনসিলভেনিয়া হলো মূল্যবান একটি সুইং রাজ্য, যেখানে ১৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে, যা অন্য যেকোনো ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যের তুলনায় বেশি।
বিবিসির খবরে আরও বলা হয়েছে, ক্যারোলাইনার পর জর্জিয়ায়ও বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প। ইলেক্টোরাল মানচিত্রের অবস্থা অনেকটাই ২০১৬ সালের নির্বাচনের মত। সেবছর নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে যেসব কাউন্টির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে সামান্য হলেও লক্ষণীয়ভাবে এগিয়ে আছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। মূলত শহর ও শহরতলির কাউন্টিগুলোতে জো বাইডেনের মোট ভোটের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই ভোট পেয়েছেন কমলা হ্যারিস। তবে এখনও পর্যন্ত তা ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়।
অপরদিকে বাকিসব রাজ্যেই এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে অ্যারিজোনায় নীল হয়েছিল। ৪৯.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন বাইডেন। আর ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৪৯ শতাংশ ভোট। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স)
এবার মিশিগানে এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালে মিশিগানে ইলেকটোরালের কলেজের সংখ্যা ১৬টি। প্রতিটি পেয়েছিলেন বাইডেন। তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫০.৬ শতাংশ। ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৪৭.৮ শতাংশ ভোট।
২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের থেকে নেভাদা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বাইডেন। ৫০.১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৪৭.৭ শতাংশ ভোট।
উইকনসিনে প্রাথমিকভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। ২০২০ সালে বাইডেন জিতেছিলেন। প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৯.৪ শতাংশ। আর ট্রাম্প ৪৮.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে সেখানে ট্রাম্প জিতেছিলেন।
এছাড়া ট্রাম্পের জয়ী হওয়া রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, মিসৌরি, ওহায়ো, মন্টানা, টেক্সাস, লুউসিয়ানা, সাউথ ডাকোটা, নর্থ ডাকোটা, আরকান্সাস, ইন্ডিয়ানা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, আলাবামা, সাউথ ক্যারোলাইনা, ওকলাহোমা, মিসিসিপি, টেনেসি, ফ্লোরিডা এবং অন্যান্য।
অন্যদিকে কমলা জয় পেয়েছেন, নিউ ইয়র্ক, ভারমন্ট, ইলিনয়, রোড আইল্যান্ড, কলোরাডো, ম্যাসাচুসেটস, মেরিল্যান্ড, নিউ জার্সি, ডেলাওয়্যার, কানেকটিকাট, ডিস্ট্রিক্ট অফ কলোম্বিয়া এবং অন্যান্যতে।
ট্রাম্প ২০১৬ এবং ২০২০ উভয় নির্বাচনে নর্থ ক্যারোলাইনায় জয়লাভ করেছিলেন, অন্যদিকে বাইডেন ২০২০ সালে বাকী ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলো খুব সামান্য ব্যবধানে জয় করেছিলেন।
এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়নি, যার অর্থ হলো প্রতিটি রাজ্যে লড়াই এখনও হাড্ডাহাড্ডি অবস্থায় রয়েছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার এই অবস্থান প্রতি মিনিটে পরিবর্তিত হচ্ছে।
জাতীয় জরিপ বলছে, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ভোটার যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন। ট্রাম্প তার প্রচারে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। অন্যদিকে, হ্যারিস সতর্ক করেছেন যে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ গণতন্ত্রের ভিত্তিকে বিপন্ন করতে পারে।