‘শেষবারের মতো’ করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল খুঁজতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন দল
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি এবং এর অন্যান্য ভবিষ্যৎ প্রাদুর্ভাব বুঝতে বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ২৬ জন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি নতুন বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, নতুন এই উপদেষ্টা দল গঠনই 'হয়তো কোভিড-১৯ এর উৎপত্তিস্থল খুঁজে পাওয়ার শেষ সুযোগ'।
বিশেষজ্ঞ দলটির নাম দেওয়া হয়েছে, সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন দ্য অরিজিন অব নভেল প্যাথোজেনস-এসএজিও।
চীনের উহান শহরে ভাইরাস শনাক্তের দেড় বছরেরও বেশি সময় পেরিয়েছে। অথচ কীভাবে ভাইরাসটি প্রথম আবির্ভূত হয়েছিল সে প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়।
ভাইরাসটি উহানের বাজারে প্রাণীদেহ থেকে মানব শরীরে প্রবেশ করেছে নাকি ল্যাব দুর্ঘটনার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তা খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞ দলটি। যদিও দ্বিতীয় সম্ভবনাটিকে প্রতিবারই জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে চীন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, ডব্লিউএইচও'র আরেকটি বিশেষজ্ঞ দল কোভিডের উৎপত্তি তদন্তে চীনে পৌঁছে গবেষণা শুরু করেছিল। সেই তদন্তের প্রাথমিক ফলাফলে বলা হয়েছিল, ভাইরাসটি সম্ভবত বাদুড় থেকে এসেছে; তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
পরবর্তীতে, ডব্লিউএইচও'র মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, চীনের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য এবং স্বচ্ছতার অভাবে তদন্ত কাজটি ব্যাহত হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞ দল এসএজিও'র প্রস্তাবিত সদস্যদের মধ্যে ছয়জন বিশেষজ্ঞ আগের দলের সদস্য হিসেবে চীন সফর করেছিলেন।
করোনাভাইরাস ছাড়াও, নতুন এই বিশেষজ্ঞ দলটি অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ রোগজীবাণুর উৎসও খতিয়ে দেখবে।
ড টেড্রোস বলেন, "ভবিষ্যতের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে, নতুন রোগজীবাণুর উৎপত্তি অনুসন্ধান অপরিহার্য।"
জার্নাল সায়েন্সের একটি যৌথ সম্পাদকীয়তে ড. টেড্রোস এবং ডব্লিউএইচও'র অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেছেন, "এক্ষেত্রে ল্যাব দুর্ঘটনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।"
ডব্লিউএইচও'র জরুরি বিভাগের পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেন, "হতে পারে এসএজিও'র কাজই এই ভাইরাসের উৎপত্তি বোঝার শেষ সুযোগ।"
এদিকে, জেনেভায় জাতিসংঘের চীনা রাষ্ট্রদূত চেন জু বলেছেন, এসএজিও'র কাজ নিয়ে অবশ্যই 'রাজনীতি করা' উচিত হবে না।
তিনি বলেন, "সময় এসেছে অন্য জায়গায় দল পাঠানোর।"
- সূত্র: বিবিসি