তানভিরের স্পিন জাদুতে সাইফদের ইনিংস ব্যবধানে জয়
একাই আয়ারল্যান্ড 'এ' (আয়ারল্যান্ড ওলভস) দলকে তাড়িয়ে ফিরলেন তানভির ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের বাঁহাতি এই স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসে হয়ে উঠলেন আরও বিধ্বংসী। এবার তার শিকার ৮ উইকেট। ম্যাচে ১৩ উইকেট নেওয়া তানভিরের স্পিন ছোবলেই অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হলো আইরিশদের।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত চারদিনের ম্যাচে আড়াই দিনেই ইনিংস ব্যবধানে জিতে গেছে সাইফ হাসানের দল। ব্যাটে-0বলে দারুণ লড়ে ইনিংস ও ২৩ রানে জিতেছে ইমার্জিং দল। ১৩ উইকেট নেওয়া তানভির জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করা আয়াল্যান্ডের প্রথম ইনিংস থামে ১৫১ রানে। তানভির নেন ৫টি উইকেট। এ ছাড়া এবাদত হোসেন ও সাইফ হাসান পান দুটি করে উইকেট। জবাবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩১৩ রানে। সর্বোচ্চ ৯২ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলী রাব্বি।
এ ছাড়া অধিনায়ক সাইফ ৪৯, তানজিদ হাসান তামিম ৪১, মাহমুদুল হাসান জয় ৪২ ও তৌহিদ হৃদয় ৩৬ রান করেন। আয়ারল্যান্ডের মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হুম ৩টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসেই ১৬২ রানের লিড পায় বাংলাদেশের তরুণ দলটি।
ইনিংস হার বাঁচাতে এই রান তুলতে গিয়ে তানভিরের স্পিন ভেল্কিতে দিক হারিয়ে ফেলা আইরিশরা ১৩৯ রানেই অলআউট হয়ে যায়। ৫১ রান খরচায় ৮টি উইকেট তুলে নেন ম্যাচ সেরা তানভির। প্রথম শ্রেণিতে এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এবাদত ও সাইফ একটি করে উইকেট পান।
একমাত্র চারদিনের ম্যাচটি জিতে নেওয়া বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের নজর এবার ওয়ানডে সিরিজে। আগামী ৫ মার্চ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে আইরিশদের মুখোমুখি হবে সাইফ, তামিম, আকবর আলীরা। একই ভেন্যুতে ৭ ও ৯ মার্চ আরও দুটি ওয়ানডে খেলবে দুই দল।
এরপর ঢাকা ফিরবে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ও আয়ারল্যান্ড 'এ' দল। আগামী ১২ ও ১৪ মার্চ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে। ১৭ ও ১৮ মার্চ একই ভেন্যুতে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। ১৯ মার্চ দেশের উদ্দেশে রওনা দেবে আয়ারল্যান্ড 'এ' দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড 'এ' দল প্রথম ইনিংস: ১৫১
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল প্রথম ইনিংস: ৩১৩
আয়ারল্যান্ড 'এ' দল দ্বিতীয় ইনিংস: (আগের দিন ৩৫/৪) ৭৪.৩ ওভারে ১৩৯ (টেক্টর ৫৫, ক্যাম্পার ২২, টাকার ৫, অ্যাডায়ার ১৪, ডেলানি ৮, হিউম ১, চেইস ০*; এবাদত ১/২৭, নভির ৮/৫১, সাইফ ১/১৫)।
ম্যাচ সেরা: তানভির ইসলাম (বাংলাদেশ ইমার্জিং দল)