দুর্দান্ত এমবাপ্পের গতি থামাতে প্রস্তুত ইংল্যান্ড?
১৯৫৮ এবং ১৯৬২ বিশ্বকাপে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর টানা দুইবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি কোনো দল। ফ্রান্সের সামনে এবার সুবর্ণ সুযোগ সেটি অর্জন করার।
শেষ আটে ফরাসিদের বাধা ইংল্যান্ড, যারা নিজেরাও ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর আর ফাইনালে উঠতে পারেনি। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রত্যাশা নিয়েই কাতার এসেছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।
আল বাইত স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াইয়ের আগে এবারের বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্স, শেষ আটের ইতিহাস এবং শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ফ্রান্স
বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা শেষ আটে উঠেছে বেশ হেসেখেলেই। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলার পর বেঞ্চের খেলোয়াড়দের নিয়ে শেষ ম্যাচে তিউনিশিয়ার কাছে হারলেও সেটি মোটেও প্রভাব ফেলতে পারেনি। শেষ ষোলোর ম্যাচে পোল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করে লে ব্লুজরা।
গ্রুপ পর্বে ফ্রান্সের ফলাফল
ফ্রান্স ৪-১ অস্ট্রেলিয়া
ফ্রান্স ২-১ ডেনমার্ক
ফ্রান্স ০-১ তিউনিশিয়া
শেষ ষোলো
ফ্রান্স ৩-১ পোল্যান্ড
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের রেকর্ড
বিশ্বকাপে ৮ বার শেষ আটে উঠেছে ফ্রান্স, যার মধ্যে ৬ টিতেই জিতেছে তারা।
ফ্রান্সের শক্তি
ফ্রান্সের প্রতিটি জায়গাতেই যথেষ্ট গোলাবারুদ মজুদ রয়েছে। আছেন একজন কিলিয়ান এমবাপ্পে, কাতার বিশ্বকাপের সব আলো এখন পর্যন্ত নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড।
৫ গোল করে গোল্ডেন বুট জেতার লড়াইয়েও অন্যদের থেকে এগিয়ে এমবাপ্পে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও তিনি জ্বলে উঠলে ফ্রান্সের শেষ চারে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই সহজ হবে।
ইংল্যান্ড
১৯৬৬ বিশ্বকাপ জেতার পর আর ফাইনালে উঠতে পারেনি ইংলিশরা। তবে এবার সেই খরা কাটাতে বদ্ধ পরিকর গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত খেলে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। সেখানে তাদের কাছে পাত্তা পায়নি সেনেগাল।
গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স
ইংল্যান্ড ৬-২ ইরান
ইংল্যান্ড ০–০ যুক্তরাষ্ট্র
ইংল্যান্ড ৩-০ ওয়েলস
শেষ ষোলো
ইংল্যান্ড ৩-০ সেনেগাল
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ইংল্যান্ডের রেকর্ড
এবার নিয়ে ৮ বার শেষ আটে উঠেছে ইংল্যান্ড, যার মধ্যে ৩ বার শেষ চারে যেতে পেরেছে তারা। সাফল্যের থেকে ব্যর্থতার পাল্লাটাই ভারী ইংলিশদের।
ইংল্যান্ডের শক্তি
এবারের বিশ্বকাপে দল হিসেবে সর্বোচ্চ গোল করেছে ইংল্যান্ডই, তাদের ১২ টি গোলে করেছেন ৮ জন ভিন্ন খেলোয়াড়। ইংল্যান্ডের রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে গোল করাটাও খুব সহজ নয়, ৪ ম্যাচে মাত্র ২টি গোল খেয়েছে ইংলিশরা। সেটিও প্রথম ম্যাচে ইরানের বিপক্ষে ৬-২ গোলে জেতা ম্যাচে।
২৭০ মিনিট ধরে ইংলিশদের জালে বল ঢুকাতে পারেনি কেউ। যদিও কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং ফ্রান্সের বিপক্ষে এই রেকর্ড কতক্ষণ ধরে রাখতে পারেন ম্যাগুয়ার-স্টোনসরা, সেটির উপরেই নির্ভর করছে তাদের শেষ চারে যাওয়ার আশা।